Site icon Jamuna Television

নিরাপদে মহাশূন্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ফ্লাইটটি

মহাকাশ পর্যটনে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ফ্লাইট নিয়ে মহাশূন্য গেছে রকেট ফ্যালকন নাইন। বুধবার রাত ৮টা ৩মিনিটে উৎক্ষিপ্ত হয়ে মহাশূন্যে পৌঁছার পর থেকেই নিরাপদে মহাশূন্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফ্যালকন নাইন। প্রতিষ্ঠানটির এই ইন্সপিরেশন ফোর মিশনে আছেন ৪ জন সাধারণ পর্যটক। আর এই যাত্রার মধ্য দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই মহাকাশ পর্যটনে শুরু হলো এক নতুন দিগন্ত।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফ্লোরিডা সময় রাত ৮টা ৩ মিনিটে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। আগামী তিনদিন মহাশূন্যে কাটাবেন তারা। রকেটটির লক্ষ্য পৃথিবী থেকে ৩৬০ মাইল দূরে যাওয়ার। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ছাড়িয়েও যেতে হবে ১০০ মাইল। চাঁদে অভিযানের পর মানুষ এতদূরে যায়নি।

ইন্সপিরেশন ফোর মিশনের নেতৃত্বে আছেন মার্কিন ধনকুবের জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। তিনিই খরচ বহন করছেন বাকি তিন যাত্রীর। গেলো কয়েক বছর ধরে মহাশূন্য পর্যটন নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে।

তবে যাত্রার আগে শখের নভোচারীদের নিতে হয়েছে নানা প্রশিক্ষণ। কেননা, পৃথিবীতে যা অনায়াসেই করা যায়, মহাশূন্যে তা করতে বেশ বেগ পেতে হয়। নাসার মহাকাশচারী মেগান ম্যাকারথার বলেন, তরল দ্রব্যের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হয়। দ্রুত খেতে গিয়ে কিছুটা পড়ে গেলে তা যেকোনো জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। মহাশূন্যে বিশেষ সতর্ক থাকতে হয়। স্বাভাবিক কাজগুলোই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায় সেখানে।

এর আগে, গত জুলাইয়ে নিজ প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিকের নভোযানে চেপে মহাশূন্য সফরে যান ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন। সফরসঙ্গী ছিলেন ৫ যাত্রী। ৯ দিন পর ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ডে চেপে মহাকাশে ঘুরে আসেন শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস। ভাই মার্ক বেজোসসহ সাথে ছিলেন আরও দুজন।

জুলাইয়েই মহাকাশ ভ্রমণের লক্ষ্যে ৬ লাখ বুকিং পেয়েছে ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিক। টিকেট বিক্রি হয়েছে আড়াই লাখ ডলার করে। ২০২২ এর মধ্যে পুরোদমে স্পেস ট্যুরিজম শুরু করতে চায় তারা প্রতিষ্ঠানটি।

Exit mobile version