Site icon Jamuna Television

চট্টগ্রামে ছাগলের দুধ খেয়ে বড় হচ্ছে বাঘের বাচ্চা

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় একের পর এক জন্ম হচ্ছে নতুন বাঘ শাবকের। কিন্তু মায়ের বিরূপ আচরণে এসব শাবককে বড় করতে হচ্ছে মানব পরিচর্যায়, ছাগলের দুধ পান করিয়ে। বিরল প্রজাতির সাদা ডোরাকাটা বাঘিনী শুভ্রার গর্ভে জন্ম নেয়া শাবকটির ক্ষেত্রেও ঘটেছে তাই। ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয় বলেই এমনটি ঘটছে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহদাত হোসেন শুভ জানালেন, জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মায়ের খাঁচা থেকে সরিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয় তারা। এরপর থেকে মানব মমতায় বড় হচ্ছে শাবকটি। প্রতি ৪ ঘণ্টা পর পর তাকে খাওয়ানো হচ্ছে ৭৫ মিলি লিটার করে ছাগলের দুধ।

অ্যানিম্যাল কেয়ারটেকার মো আলমগীর জানালেন, এর আগেও গত নভেম্বরে বাঘিনী জয়ার গর্ভে জো বাইডেনের জন্মের সময়ও ঘটে একই ঘটনা। মা দুধ না দেয়ায় ৩ শাবকের মধ্যে মৃত্যু হয়, দুটির। চিড়িয়াখানা কর্মীদের পরিচর্যায় বড় করা হয় জো বাইডেনকে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এখনকার শাবকটিকে পরিচর্যা করা যাচ্ছে বলে জানালেন আলমগীর।

ডেপুটি কিউরেটর জানালেন, বন্য বাঘের ক্ষেত্রে যেটা স্বাভাবিক, সেটা ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে হয় না। এক্ষেত্রে সাধারণত মা বাঘিনী দুধ দিতে চায় না শাবককে। এ কারণে শাবকের মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে বেশি। মৃত্যুর হার কমাতে দেশের অন্যান্য চিড়িয়াখানাগুলোও কাজে লাগাতে পারে এখানকার অভিজ্ঞতা।

নতুন এই শাবকসহ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা এখন ১০টি। যার মধ্যে ৮টিই বাঘিনী।

Exit mobile version