Site icon Jamuna Television

তালেবানদের জন্য ভীতিকর সেই কারাগার পরিত্যক্ত ঘোষণা

ভীতিকর সেই কারাগার- ফুল ই চার্খ। ছবি: সংগৃহীত।

ক্ষমতা নিয়েই কুখ্যাত ফুল ই চার্খ কারাগার পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে তালেবান। মূলত তালেবান ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর বন্দিদের এখানে রেখে নির্যাতন চালানো হত। একসময়ের এসব বন্দিরাই এখন আছেন কারাগার পাহারার দায়িত্বে।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এখানে থাকা বন্দিদের মুক্তি দেয় তালেবান। ধ্বংস করে ফেলা হয় কারাগারের বেশিরভাগ অংশ। এসময় প্রমাণ মেলে ভয়াবহ বন্দি নির্যাতনের। পাওয়া যায় একাধিক গোপন কবর।

প্রায় ৫ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই কারাগার তৈরি করা হয় সোভিয়েত শাসনামলে। মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে ঘাঁটি গাড়ার পর এটি তালেবান এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কখনো কখনো এখানে বন্দির সংখ্যা ১০ হাজারও ছাড়িয়ে যেত।

নির্যাতন-নিপীড়নের মুল কেন্দ্র এ কারাগারে বন্দি ছিলো তালেবানের কয়েক হাজার সদস্য। যাদের অনেকেই এখন তালেবানের সিনিয়র নেতা। এসব তালেবান নেতার জবানবন্দিতে উঠে আসে কিভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হতো এই কারাগারে।

মোহাম্মদ নিয়াজ নামে এক তালেবান কমান্ডার বলেন, এই কারাগারে চার বছর বন্দি ছিলাম। প্রতিদিন নির্যাতন করা হতো। এমন কোনো অত্যাচার বাকি নেই যেটা করা হয়নি আমাকে। এখন যখন এই করিডোর ধরে হেটে যাচ্ছি সেই নির্যাতনের স্মৃতি মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি আমাকে বেঁধে পেটানো হবে।

তবে শফিউল্লাহ নামে এক সাবেক কারা কর্মকর্তা বলেন, এখানে বন্দিদের অনেক কিছু শেখানোও হতো। ভেতরে একটা ছোট স্কুল ছিলো। তবে এখন পুরো কারাগারই পরিত্যক্ত। বেশিরভাগ অংশই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

ফুল ই চার্খ কারাগারে বন্দি নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত করে জাতিসংঘও। তখনই সাড়ে ছয়শ বন্দির দেয়া তথ্যে উঠে আসে ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়টি।

Exit mobile version