Site icon Jamuna Television

জুয়ার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ

ছবি: প্রতীকী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের কেশালীডাঙ্গা গ্রামে জুয়া খেলার টাকা না পেয়ে মারধর ও নির্যাতনের পর স্ত্রী কাকুলি রানী মহন্তকে (২৯) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী কল্লোল চন্দ্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত কল্লোল চন্দ্রসহ তার পরিবারের লোকজন।

শনিবার দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার রাতে সাদু্ল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের কেশালীডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়িতে কাকুলি রানীকে মারধর করেন স্বামী কল্লোল চন্দ্র। অভিযুক্ত কল্লোল চন্দ্র ওই গ্রামের শুকলু চন্দ্র মহন্তের ছেলে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে কল্লোলের সাথে কাকুলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানা যায়, জুয়াসহ কল্লোল মাদকেও আসক্ত। এ নিয়ে প্রায়ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লাগতো। এছাড়া কিছুদিন ধরে কল্লোল চন্দ্র মাদক ও জুয়া খেলার টাকার জন্য কাকুলিকে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কাকুলিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন কল্লোল। শুক্রবার রাতেও জুয়া খেলার জন্য কাকুলির কাছে ২
হাজার টাকা চায় কল্লোল। কিন্তু টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় কাকুলিকে বেদম মারধরসহ শারীরিক নির্যাতন চালায় কল্লোল। শেষ রাতের দিকে কাকুলিকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় কল্লোল ও তার পরিবারের লোকজন।

কাকুলির বড় ভাই মনোরঞ্জন মহন্ত বলেন, জুয়ার টাকা না পেয়ে কল্লোল তার বোনকে রাতভর নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। শুধু কল্লোলই নয়, তার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন বিয়ের পর থেকেই বোন কাকুলিকে নির্যাতন করতেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, নিহতের গলা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত কল্লোলসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের লোকজনের পক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version