Site icon Jamuna Television

অক্টোবরে খুলছে সেন্ট মার্টিন

দেশের পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ সেন্টমার্টিন। সর্ব দক্ষিণের এই দ্বীপ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে অক্টোবর থেকেই চালু হবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল। তাই অধীর অপেক্ষায় পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িতরা। তবে স্থানীয়দের শঙ্কা করোনার প্রকোপ নিয়ে। পর্যটন নির্ভর এই জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সচেতন থাকবে সবাই। সেই সাথে ভেঙে যাওয়া জেটি সংস্কারের দাবি সর্বমহলের।

অক্টোবর থেকেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের জাহাজ চালু হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। কিন্তু গেল বর্ষায় সেন্টমার্টিনের উত্তর ও পশ্চিম বিচ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রয়েছে কিছুটা দুশ্চিন্তা। এ যাত্রায় বালির ব্যাগ দিয়ে রক্ষা পেলেও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা চান স্থানীয়রা। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ সেন্টমার্টিনের একমাত্র জেটিটিও। কয়েক জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন তারা।

শিশুদের নির্মল আনন্দ খেলা করে সেন্টমার্টিনে। সমুদ্রের জলরাশি ঘেরা এই প্রকৃতিতেই বেড়ে ওঠে সেন্টমার্টিনের নতুন প্রজন্ম। কিংবদন্তি হয়ে ওঠা দক্ষিণের শেষ বিন্দু ছেড়াদ্বীপ। এখানেই ফণা তুলে বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ে প্রবাল প্রাচীরে। ছোট ছোট কাঁকড়া নেমে পড়ে খাবার সংগ্রহে। প্রকৃতিকে এমনই নিবিড় চোখে দেখার সুযোগটা আর কোথায় মেলে?

সেন্ট মার্টিনের মানুষের মূল পেশা মাছ ধরা। যাদের ট্রলার আছে তারা চলে যায় গভীর সমুদ্রে। বাকিরা দ্বীপের চারপাশে পানিতে নেমে পড়ে ছোট ছোট জাল কিংবা বরশি নিয়ে। পর্যটন মৌসুমে পেশা পাল্টে যায় অনেকের। হোটেল, কটেজে চাকরি ছাড়াও পর্যটকদের প্রয়োজন মেটাতে মৌসুমি নানা কাজে যুক্ত হন এখানকার মানুষ।

আনুষ্ঠানিকভাবে এই দ্বীপে করোনা আক্রন্তের খবর নেই। তাই আসন্ন মৌসুমে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান আশা করছেন, পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভ্রমণ করবেন দ্বীপটি। দ্বীপটিতে একটি হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই দ্বীপবাসীদের।

Exit mobile version