Site icon Jamuna Television

প্রবাসী আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে ছন্দপতন

বর্তমান অর্থবছরের শুরু থেকেই কমছে প্রবাসী আয়। করোনায় বিদেশে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার পাশাপাশি হুন্ডি সচল হয়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্সের ওপর প্রভাব পড়ছে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের। তবে এটি নিয়ে এখনই খুব বেশি চিন্তিত নন তারা।

আগে থেকেই আশঙ্কা ছিল করোনায় কমে যাবে প্রবাসী আয়। তবে ঘটে উল্টোটি। গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীরা মাসে গড়ে রেমিট্যান্স পাঠায় ২শ কোটি ডলারের বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের শুরুতেই কিছুটা ছেদ পড়েছে প্রবাসী আয়ে। গেল জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে কমছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ। তবে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় আয়ে কিছুটা প্রভাব পড়া স্বাভাবিক বলে মনে করছেন ব্র্যাক মাইগ্রেশনের প্রধান শরিফুল হাসান।

করোনা সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বিশ্ব। বেড়েছে মানুষের চলাচল। সেই সাথে আবারও তৎপর হচ্ছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা। এটি নিয়ন্ত্রণে প্রণোদানা বাড়ানোর পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মাসিক ভিত্তিতে প্রবাসী আয় বাড়া-কমার বিষয়টি মূল্যায়ণ করা ঠিক নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম মনে করেন, প্রবাসী আয়ে এখনকার ভাটা সাময়িক, এটি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ উৎসব কেন্দ্র করে পরিবারের কাছে বেশি টাকা পাঠায় প্রবাসীরা। এছাড়া ব্যাংকিং মাধ্যমে রেমিট্যান্স আনতে ব্যাংকারদের তৎপর হওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Exit mobile version