Site icon Jamuna Television

বেহাল অবস্থা গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৮০ ভাগ সড়কের

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ

উন্নয়নমূলক কাজের নামে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৮০ ভাগ সড়ক। সেই সাথে ধুলাবালির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী। সামনের বর্ষা মৌসুমে এ ভোগান্তি পৌঁছাবে আরো চরমে। দ্রুত সড়ক নির্মাণসহ ধুলাবালি নিরসনের দাবি পৌরবাসীর।

দেড় বছর ধরে পৌর এলাকায় চলছে পাইপ লাইন ও ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ। পৌরসভার চৌরঙ্গী, বাজার রোড, মিয়াপাড়া, সিকদারপাড়াসহ সবখানেই এক সাথে করা হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ি। ফলে পৌর এলাকার ৮০ ভাগ সড়ক এখন চলাচলের অনুপোযোগী। যে তালে এ উন্নয়ন কাজ চলছে, তাতে কবে নাগাদ তা শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছেনা।

শুধু সড়কের বেহাল অবস্থাই নয় পৌরবাসীর অরেকটি দুর্ভোগ হয়ে উঠেছে ধুলাবালি। বছরের পর বছর ঠিকাদাররা রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখায় ধুলাবালিতে ভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে। যা গোপালগঞ্জ জেলা শহরকে ধুলাবালির শহরে পরিনত করেছে। প্রতিটি সড়কে এমনভাবে ধুলাবালিতে ভরপুর যে, দেখলে মনে হবে দিনের বেলায় ও কুয়াশায় ভরে গেছে। ধীর গতিতে কাজ চলা এসব সড়ক দিয়ে সকল বয়সের মানুষকে নাকে রুমাল বা মাস্ক পরে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ এলার্জি, এ্যাজমা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

আর এ কারণে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেছে ‘আলোর দিশারী’ নামের একটি সংগঠন। ধুলাবালি রোধের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদী র‌্যালি করেছে তারা। একই সাথে সকল সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। দ্রুত স্থায়ী সমাধানে দাবি তাদের।

শহরের চৌরঙ্গী রোডের ব্যবসায়ী সোহেল জোহা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন চৌরঙ্গীর রাস্তাটি খুঁড়ে ফেলে রাখায় তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

পৌর সভার বাসিন্দা মাহবুব হাসান বাবু, অংকুর মিয়া, অনুপ ভক্ত, শুভ হীরা, রাহুল সাহা জানান, এভাবে মাসের পর মাস রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রেখে পৌরবাসীকে ব্যাপক সমস্যায় ফেলোনো হয়েছে। ধুলাবালির কারণে লোকজন রাস্তায় চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। তারা পৌর কর্তৃপক্ষকে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা নেবেন এমনটি প্রত্যাশা তাদের।

পৌরবাসীর সমস্যার কথা স্বীকার করে তা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু বলেন, সাধারন মানুষের ভোগান্তি দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে এবং ইতিমধ্যে তারা ধুলাবালির রাস্তায় পানি ছিটিয়ে কিছুটা হলেও এ অবস্থার উন্নতি করার ব্যবস্থা করবেন।

 

 

 

 

 

Exit mobile version