Site icon Jamuna Television

ময়নাতদন্ত, দাহ শেষ, মৃতব্যক্তি বাড়িতে হাজির!

বাজারে আত্মহত্যায় মৃতদেহ ঝুলে আছে। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে শনাক্ত করে। ময়নাতদন্ত শেষে সৎকার করে বাড়ি ফেরে শোকগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পরের দিনই মৃতব্যক্তিকে বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলো। পরিবারের লোকদের খবর দেয়া হলো। তারা এসে মাথা ঘুরে যাওয়ার অবস্থা। যার কাল সৎকার করা হয়েছে তিনি জীবন্ত। তাহলে কাল যার সৎকার করা হলো তিনি কে? এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের ক্রান্তিতে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, শনিবার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি বাজার থেকে গিরেন রায় (৫৪) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে মালবাজার পুলিশ। পরে মৃতের দুই ছেলে, সঞ্জিত রায় ও বিশ্বজিৎ রায়-সহ বাড়ির লোক এসে তাঁর দেহ শনাক্ত করেন।

ছেলেরা জানান, তাঁদের বাবার গত চার বছর ধরে মানসিক সমস্যা ছিল। কখনও বাড়িতে থাকতেন, কখনও বাইরে চলে যেতেন। গতকালই জলপাইগুড়িতে ময়নাতদন্তের পরে, কাঠাম বাড়ি এলাকায় বাবার মৃতদেহ সৎকার করেন ছেলেরা।

সবই ঠিকঠাক চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ শনিবার ক্রান্তি এলাকার মানুষ দেখতে পান গিরেন রায় বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।  হতবাক হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। যে ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতে শ্মশানঘাটে জ্বালিয়ে সৎকার করা হল, সেই ব্যক্তি আবার বাজারে কীভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এদিকে দুই ছেলেকে খবর দেয়া হলে, সঞ্জিত ও বিশ্বজিৎ জানায়, যিনি জীবিত অবস্থায় বাড়িতে এসেছেন, তিনিই তাঁদের বাবা। এরপরই প্রশ্ন উঠে তাহলে শনিবার রাতে যাঁর মুখাগ্নি করা হলো তিনি কে?

আজ সকাল থেকে গিরেন রায়কে দেখতে ভিড় করেন এলাকার মানুষ। আসে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশও। পুলিশও ঘটনার কোন কুলকিনারা পাচ্ছেন না।

Exit mobile version