বাংলাদেশের রাস্তায় বিস্তর আঁকা-বাঁকা, আর এটি হর-হামেশা সড়ক দূর্ঘটনা ঘটার অন্যতম কারণ। এ নিয়ে সারা দেশ জুড়ে সব সময় আন্দোলন, সেমিনার, আলোচনা লেগেই আছে।
এই পর্যায়ে এসে হয়তো বলবেন, আমার কি করার আছে। আমি তো আর গাড়ি চালাই না। আসলে আদৌ গাড়ি চালাতে জানি না। তবে চালাতে পারলে বেশ লাগত। শিখব শিখব করেও শেখা হয়নি।
তাদের জন্য বলি শেখার কি আদৌ দরকার আছে? শুধু চাবি গুরিয়ে গাড়ি চালু করবেন। নির্দিষ্ট গিয়ারে ফেলে এক্সেলেটরটা পা দিয়ে চেয়ে রাখবেন তাতেই হবে।
হ্যাঁ, তাতেই হবে। বিশ্বাস হচ্ছে না! তবে শুনুন, মরুর দেশ সৌদি একটি রাস্তা আছে যা পুরো দেশটিকে এফোড়-ওফোড় করে দিয়ে চলে গেছে। ওই রাস্তাটি আপনাকে গাড়ির স্টিয়ারিং ঘোরাতে হবে কিংবা বার বার ব্রেক কষতেও হবে। শুধু চালু করে দিয়ে বসে থাকবেন।
ভাবছেন এমন সোজা-সাপ্টা রাস্তা আর কতটুকুই বা হবে। একে কম নয়, পুরো আড়াই শতাধিক বা ২৫৬ কিলোমিটার। আরব নিউজ বলছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সোজা সড়ক।
আগের সবচেয়ে দীর্ঘতম সোজা সড়ক ছিল অস্ট্রেলিয়ার এইরি হাইওয়ে, এর দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার।
যাই হোক, সড়কটি সৌদি আরবের হারাদ থেকে শুরু হয়ে পারস্য উপসাগরের শহর আল বাথা-তে গিয়ে শেষ হয়েছে। মাঝখানে পাড়ি দিয়েছে সৌদি বিখ্যাত রাব আল খালি মরুভূমি।
ও হ্যাঁ, সৌদি সরকার কিন্তু পর্যটক ভিসা দিচ্ছে! কি যাবেন নাকি, কান্তার মরুর ভেতর দিয়ে বিস্তর বালি পাড়ি দিয়ে একটা লং ড্রাইভে জেতে?
যমুনা অনলাইন: এফএইচ

