Site icon Jamuna Television

ইয়েমেনের ভয়ঙ্কর ‘জাহান্নামের কূপ’এ ঝাপ বিজ্ঞানীদের, জানালেন অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের আল-মেহরা প্রদেশের মরুভূমির ঠিক মাঝখানে অবস্থিত একটি বিশাল গর্ত। এটি ‘ওয়েল অব হেল’ বা জাহান্নামের কূপ হিসেবে পরিচিত।  ১০০ ফুট চওড়া এই দৈত্যাকার গর্ত বা কূপের গভীরতা সম্পর্কে কারোরই সঠিক ধারণা নেই। কারণ, এর আগে কূপে কেউ প্রবেশ করেনি। তবে ধারণা করা হয় এর গভীরতা ৩৬৭-৮০০ ফুট বা তারও বেশি। সেই কূপেই এবারে নেমে পড়লেন একদল বিজ্ঞানী। খবর আল আরাবিয়ার।

কূপটি সম্পূর্ণ অন্ধকার, ঠিক যেন পৃথিবীর বুকে একটি ব্ল্যাকহোল। এর ভেতর তেমন কোনও আলো বা বাতাস চলাচল করতে পারে না, ফলে রয়েছে অক্সিজেন স্বল্পতা। তাই আজ পর্যন্ত কেউই এই কূপের ভেতর প্রবেশের সাহস করেনি। তবে ওমানের একদল গবেষক এ অসাধ্য কাজটি সাধন করেছেন। তারা ঘুরে এসেছেন কূপের ভেতরটা।

সম্প্রতি ওমানের গুহা অনুসন্ধানকারী দল ওসিইটির একটি দল এ অভিযান চালিয়েছে। ১০ জনের সদস্য বিশিষ্ট একটি দলের ৮ জন গুহাটির ভেতরে প্রবেশ করেন, বাকি দুজন বাইরে থাকেন অপেক্ষায়। অবশেষে তারা বেরিয়ে এসে জানালেন, গুহাটি ভেতর থেকে অত্যন্ত ফাঁপা। মারাত্মক অন্ধকার এবং এর ভেতরে সাপ, মরা জীবজন্তুর দেহাবশেষ ছাড়া কোনও নরকের দরজাই খুঁজে পাননি তারা। তবে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন, কিছু অদ্ভুত গন্ধ পেয়েছেন তারা। তার উৎস কী তা এখনও অনুমান করা যায়নি।

রহস্যজনক গর্তটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য মানুষের হাতে নেই। কীভাবে সেটি তৈরি হলো সে সম্পর্কেও তেমন কিছু জানা যায় না। স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত আছে, এই কূপটিকে মূলত জ্বীন জাতিকে আটকে রাখা হয়। একাংশ মনে করেন, এই কূপের আরেক পাশ সরাসরি নরক বা জাহান্নামের সাথে সংযুক্ত।  অনেকের দাবি, গুহাটির ভেতর থেকে অদ্ভুত গন্ধ পাওয়া যায় মাঝে মধ্যে। তবে এবার বিজ্ঞানীরা এর ভেতর ঘুরে এসে জানালেন অন্য কথা।

গুহাটির ৫০-৬০ ফুট প্রবেশ করেছে ওই দল। সেখান থেকে মৃত পশুর দেহাবশেষ, মাটি, পানি এবং পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে আনা হয়েছে। এসব দিয়ে চলবে গবেষণা। এরপর মানবজাতির কাছে উন্মোচিত হবে পৃথিবীর অন্যতম অজানা এক রহস্য।

Exit mobile version