Site icon Jamuna Television

ডেঙ্গু এবং ভাইরাস জ্বরের রোগীতে সয়লাব রাজধানীর হাসপাতাল

দেশজুড়ে কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের কারণে কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ, এরমধ্যে ভাইরাসজনিত জ্বরের হারও বেড়েছে। গত কয়েকদিন হাসপাতালে জ্বর নিয়ে আসছেন আগের তুলনায় অনেক বেশি রোগী।

ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড ও শিশু হাসপাতালে। সেবা নিতে আসা ও ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বেশি এই হাসপাতাল দুটিতে। হাসপাতাল দুটি ঘুরে দেখা যায় ভয়াবহ চিত্র। ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের ভর্তির দুদিন পরেও ভালো নেই আবির ইকবাল নামে এক রোগী। হঠাৎই প্রচণ্ড কাঁপুনি। পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাট এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত মামাকে দেখতে এসে নিজেই আক্রান্ত হন ইকবাল। পাশের বেডে ভর্তি মামা অনেকটা সুস্থ হলেও ইকবালকে নিয়ে শঙ্কা কাটেনি এখনও। এখন ভাগ্নের দেখাশুনা করতে হচ্ছে মামাকেই।

এছাড়া নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী এবং সন্তানও একইসাথে ভর্তি আছেন হাসপাতালে। মহিলা ওয়ার্ডে স্ত্রী আর পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে সন্তানের। নিজাম উদ্দিন একবার ছেলের কাছে যাচ্ছেন তো একবার স্ত্রীর কাছে। এর আগে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েননি তিনি। জানালেন তার ভোগান্তর কথা। হাসপাতালে অসুস্থ পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তা, তার ওপর চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা তো আছেই।

হাসপাতালটিতে রোগীর চাপ কিছু কমলেও খালি নেই কোনো শয্যা। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার মনীষা মানিক পিয়াল জানালেন, রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায়। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও।

ঢাকার শিশু হাসপাতালের পরিস্থিতিও একই রকম। ডেঙ্গুতে মিটফোর্ডের পরে সবচেয়ে বেশি রোগী এ হাসপাতালে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর চাপ কিছুটা কম। ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ধ্যাপক ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ জানালেন, এখনও সে সংখ্যা আশঙ্কাজনক। এছাড়া জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের অধিকাংশই এখন ভাইরাসজনিত রোগে ভুগছেন বলে জানান তিনি।

সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি। তবে ধারণা করা হয় এই সংখ্যা আরও বেশি।

Exit mobile version