Site icon Jamuna Television

তালেবান ক্ষমতায় আসার পরই নানামুখী সংকটে আফগানিস্তান

যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি এবার তীব্র খাদ্য, স্বাস্থ্য ও আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে দেশটি। এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলেও। এজন্য তীব্র খরা ও চলমান অস্থিরতাকে দায়ী করছেন তারা। তাদের মত, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কটে পড়বে দেশটি।

তীব্র খরায় মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। ফলছে না কোনো ফসল। গেল তিন বছরে দ্বিতীয় দফায় এমন ভয়াবহ খরার কবলে পড়লো দেশটি। ফসল না ফলায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সঙ্কট। তিনবেলা পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না বহু আফগান। এমন মানবিক সঙ্কটের পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও অস্থিতিশীল। সাধারণ মানুষ বলছেন, বহির্বিশ্বের উচিত তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানো। মানবিক সহায়তার মাধ্যমে সঙ্কট দূর করা। এমনকি কেই কেউ তালেবান সরকারের কাছেই দাবি করছেন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। বলছেন, জনগণের পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের এগিয়ে আসা উচিত।

জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান অর্থনীতিবিদ আরিফ হুসেইন বলছেন, গত দুই সপ্তাহে দেশটিতে অন্তত একবার হলেও খাবারের অভাবে ভুগেছে ৫০ শতাংশ মানুষ। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। তিনি বলেন, অন্যের কাছে খাবার চেয়ে এবং আধপেট খেয়ে দিনপার করছেন প্রতি ১০ জনে সাত জন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের জরুরি ভিত্তিতে অন্তত দুশো মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

খাদ্য সঙ্কটের পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্যখাতও। নিরাপত্তার অভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ায় বন্ধের পথে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে বেড়েছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুদের হাম ডায়রিয়ার মত রোগ। মজুদ ফুরিয়ে আসছে বেশিরভাগ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম জানান, ভেঙে পড়েছে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। ৫০ শতাংশ শিশু রয়েছে অপুষ্টির ঝুঁকিতে। দেশটিতে ডব্লিউএইচওর ২৩শ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এখন চালু মাত্র ১৭ শতাংশ, শেষ হয়ে আসছে দুই তৃতীয়াংশ জরুরি ওষুধের মজুদও।

আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ ও বহির্বিশ্বে রিজার্ভ আটকে থাকায় আর্থিক অনিশ্চয়তায় রয়েছে দেশটি।

Exit mobile version