Site icon Jamuna Television

পাঁচ সন্তানের বাবার সাথে পরকীয়া, স্বীকৃতি না মেলায় আত্মহত্যাচেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রেমের স্বীকৃতি না মেলায় নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে স্বামী পরিত্যক্তা (২৭) এক নারী।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ওই উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নে আটিগ্রামে দিলু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই নারী একই ইউনিয়নের ছেংজানা গ্রামের বাসিন্দা। পেট্রালের আগুনে নারীর মুখমণ্ডল ও দুই হাতসহ শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, আহত ওই নারীর এর আগে একাধিক বিয়ে হয়েছে। সর্বশেষ সংসারে দাম্পত্যকলহ দেখা দিলে তা শেষপর্যন্ত মামলা মোকদ্দমায় গড়ায়।

স্থানীয়রা আরও জানায়, নারীরে বর্তমান স্বামী বিদেশে চলে যান। ওই নারীর মামলা-মোকদ্দমায় সহায়তা করতে গিয়ে আটিগ্রামের দেলোয়ার ওরফে দিলু মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে দিলু মিয়া পাঁচ সন্তানের জনক।

গত কোরবানি ঈদের পরে তিনি একটি হত্যা মামলায় আসামি হয়ে পলাতক ছিলেন। গত কয়েক দিন আগে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে বাড়িতে এসেছেন। ওই নারী চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। দিলু মিয়া বাড়িতে আসার খবর পেয়ে গত বুধবার তিনিও বাড়িতে আসেন। এরপর প্রেমের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে দিলু মিয়ার বাড়ি যান। বাড়ির উঠানে ঢুকে তিনি শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে বাড়ির লোকজন আগুন নিভিয়ে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল ইসলাম, কেন্দুয়া সার্কেল এএসপির জোনাঈদ আফ্রাদ ও থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ।

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ আব্দুল্লাহ গালিব জোবায়ের বলেন, ওই নারীর মুখমণ্ডল, দুই হাতসহ শরীরের অন্তত ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, ঘটনা জানার পরপরই হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। দিলু মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটেছে। প্রেমের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই নারী। এ ব্যাপারে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version