Site icon Jamuna Television

ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেও বাঁচানো গেল না করোনা রোগীকে

ছবি: সংগৃহীত।

ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেও বাঁচানো গেল না ৪৬ বছর বয়সী আইটি কর্মকর্তা দীপক হালদারকে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মারা যান তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দীপক হালদার টানা ১০৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার ফুসফুস সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়েছিল। সেজন্য একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। একপর্যায়ে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। এমনকি গুজরাটের সুরাটে এক ব্রেন ডেথ ব্যক্তির ফুসফুস ওই করোনা রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর সুরাট থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে আসা হয় ফুসফুস। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ গ্রিন করিডর করে মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পৌঁছে। রাতেই চিকিৎসক কুণাল সরকারের নেতৃত্বে পাঁচজনের চিকিৎসক দল শুরু করে অস্ত্রোপচার। শরীরে সফলভাবে তা প্রতিস্থাপন করেন তারা। অস্ত্রোপচার সফলও হয়।

কিন্তু এই দীর্ঘ প্রচেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার মারা যান দীপক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় ওই করোনায় আক্রান্ত রোগীর। এই মৃত্যুতে হতাশ তার পরিবারের সদস্যরা। কারণ দীর্ঘ প্রচেষ্টা এবং সংশয় নিয়ে অস্ত্রোপচার সফল হলেও বাঁচানো গেল না ব্যক্তিটিকে।

Exit mobile version