Site icon Jamuna Television

আজ গুগলের ২৩তম জন্মদিন

ছবি: সংগৃহীত।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন হলো গুগল। আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ২৩ বছরে পা দিয়েছে এই জায়েন্ট কোম্পানি। প্রতি বারের মতো এ বছরও জন্মদিন উপলক্ষে ডুডল প্রকাশ করেছে গুগল। সেখানে একটি অ্যানিমেটেড কেকের ছবি এবং কেকের ওপর একটি মোমবাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ডুডল।

সার্চ ইঞ্জিন গুগলের মূল যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনের রিসার্চ প্রজেক্ট হিসাবে জন্ম হয় গুগলের। যদিও ওই সময় গুগলের নাম ছিল ‘ব্যাক রাব’ (Back Rub)। এরপর ১৯৯৭ সালে ফাউন্ডেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করে এই সার্চ ইঞ্জিন। সবশেষে ১৯৯৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গুগল একটি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অফিশিয়ালি গুগলের জন্মদিন ৪ সেপ্টেম্বর হলেও পরে জন্মদিন পালনের সময় ২৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

তবে মজার বিষয় বিষয় হলো, ‘গুগল’ শব্দটি কিন্তু আসলে একটি শব্দের ভুল উচ্চারণ থেকে তৈরি। মূলত, গুগল শব্দটি এসেছে ‘googol’ থেকে। যার অর্থ ১ এর পর ১০০টি শুন্য। তবে এর ভুল উচ্চারণের জন্য বর্তমানে এটি ‘google’ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত।

২০০২ সালে প্রথম ডুডল প্রকাশ করে গুগল জন্মদিন পালন করে। এরপর প্রতি বছরই ডুডল প্রকাশ করে এই গুগল।

গুগলকে একটি ক্রিয়াপদ হিসেবে (গুগল করা অর্থে) প্রথম অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০০৬ সালে। মিরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধান লিখেছিল, গুগল করা মানে হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে কোনো তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা’।

বর্তমান বিশ্ব গুগল ছাড়া এক মুহূর্তও অচল। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের এমন কোনও তথ্য নেই যা গুগলে পাওয়া যায় না। ফলে, প্রতিদিন বিভিন্নভাবে গুগলের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। তবে এর একটি ভিন্ন দিকও আছে।

গুগল যেমন একদিকে আমাদের তথ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে পাশে থাকে, তেমনই আমাদের সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা এই সার্চ ইঞ্জিনের আওতায় চলে যায়। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের স্বাধীনতা এবং তথ্যের নিরাপত্তার দিক দিয়ে গুগলের অবদান এখন অনেকটাই বিতর্কিত। তবু বর্তমান বিশ্বে এই সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প নেই।

Exit mobile version