Site icon Jamuna Television

৩৫ বছর বয়সে চাকরি ছেড়েছেন, তারপরও সঞ্চয় ১১ কোটি!

কেটি ডোনেগান ও তার জীবনসঙ্গী অ্যালেন। ছবি: সংগৃহীত।

তার বয়স এখন ৩৭। মহামারি শুরু হওয়ার আগে মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন কেটি ডোনেগান। অবসর জীবনের খরচ কীভাবে চলবে, তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ চিন্তা নেই ওই ব্রিটিশ নারী। কারণ মাত্র কয়েক বছরের কর্মজীবনেই প্রায় ১০ লক্ষ ইউরো (প্রায় ১১ কোটি টাকা) সঞ্চয় করে ফেলেছেন তিনি! কিনেছেন দামী ফ্ল্যাটও। মিররের খবর।

কেটি ডোনেগান বলেন, আমি মিতব্যয়ী ছিলাম। সমবয়সীদের যখন খরচের ঝোঁক ছিল, আমার লক্ষ্য ছিল জমানো। স্কুলে পড়ার সময় থেকই কেটির সঞ্চয়ের নেশা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে পড়াকালীন একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন কেটি। ঘণ্টাপ্রতি ৯ পাউন্ড মজুরিতে। এরপর পড়াশোনার পর্ব শেষ না করেই ২০০৫ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজ নিয়ে পাড়ি দেন কোস্টারিকায়। সেখানেই স্বামী অ্যালেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল।

দেশে ফিরে এসে ২০০৮ সালে পড়াশোনা শেষ করেন কেটি। অ্যালেনের হ্যাম্পশায়ারের বাড়িতে থেকেই চাকরি শুরু করেন।

কেটি বলেন, সে সময় আমার বার্ষিক রোজগার ছিল প্রায় ২৮,৫০০ পাউন্ড। কিন্তু একটা পুরনো গাড়িতে চড়তাম। সস্তার প্যাকেটের খাবার খেয়েই কাটাতাম।

এমন মিতব্যয়িতার কারণেই ২০১০ সালের মধ্যেই বেসিংস্টোকে একটি দুই রুমের ফ্ল্যাট কিনে ফেলেছিলেন তিনি। ১ লক্ষ সাড়ে ৬৭ হাজার ইউরোর ফ্ল্যাটের জন্য প্রাথমিক ভাবে দিতে হয়েছিল ৪২ হাজার পাউন্ড। ২০১৩ সালে অ্যালেনকে বিয়ে করেন কেটি। ততদিনে তিনি বেশ কয়েক কোটি জমিয়ে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত ব্যবসায় নিয়োজিত অ্যালেনও মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত।

এর কয়েক বছর পর থেকেই চাকরি ছাড়ার ভাবনা আসে তার মনে। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কেটি।

Exit mobile version