Site icon Jamuna Television

ইতালিতে সমুদ্রতলে ‘সান্টা তেরেসা স্মার্ট বে’

ইতালিতে সমুদ্রতলে 'সান্টা তেরেসা স্মার্ট বে'

ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি পণ্যের সাথে স্মার্ট শব্দটি বহুল প্রচলিত। তাই বলে স্মার্ট উপসাগর! ইতালির সমুদ্র উপকূলে পানির নিচে গড়ে উঠেছে এমন এক গবেষণাগার, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘সান্টা তেরেসা স্মার্ট বে’। ভূমধ্যসাগরের পানি, সামুদ্রিক প্রাণি আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হয় সেখানে।

ইতালির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় তটরেখা ধরে লিঙ্গুরিয়া উপকূলের এই অঞ্চলটি আগে থেকেই পরিচিত পর্যটন আর ডাইভিংয়ের জন্য। ছোট উপসাগরীয় এলাকাটিকেই গবেষকরা পছন্দ করেছেন, সমুদ্রের পানি আর প্রাণীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের উপযুক্ত স্থান হিসেবে।

ইতালির ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল -সিএনআর ও ন্যাশনাল এজেন্সি ফর নিউ টেকনোলজিস, এনার্জি এন্ড সাসটেইনেবল ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট-ইএনইএ’র যৌথ উদ্যোগে এখানে গড়ে তোলা হয় ‘সান্টা তেরেসা স্মার্ট বে’। এখান থেকেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সমুদ্র তলদেশের পরিবেশ আর সামুদ্রিক প্রাণীদের।

সমুদ্র বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কো রেজেগেটি বলেন, পানির সাথে কার্বোনেটসহ অন্যান্য উপাদানের রসায়ন পর্যবেক্ষণ করছি। পিএইচ ও অক্সিজেনের মাত্রা জলবায়ু পরিবর্তনে কি প্রভাব ফেলছে পর্যবেক্ষণ করছি। দেখা যাচ্ছে, ভূমধ্যমাগরের বাস্তুসংস্থান প্রক্রিয়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত।

বৈশ্বিক সমুদ্রভাগের শূন্য দশমিক ৭ ভাগ নিয়ে ভূমধ্যসাগরের অবস্থান। জিব্রাল্টার প্রণালীর মাধ্যমে যুক্ত আটলান্টিকের সাথে। সম্পৃক্ততা কম নদীর পানির সাথে। পিএইচ এর মাত্রাসহ ভূমধ্যসাগরের পানির রয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য।

তবে সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, অম্লতা ও পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার মতো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশ কিছু বছর ধরে। এতে কেবল সামুদ্রিক প্রাণীদের আচরণ পরিবর্তন নয়, আবহাওয়াতেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
বিশেষ করে ঘন ঘন টর্নেডোর আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।

ইএনইএ গবেষক সমুদ্র বিজ্ঞানী চিয়ারা লোম্বার্ডি বলেন, গত কয়েক বছরের ভূমধ্যসাগরের পানির তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সিসিলি উপকূল থেকে লবনাক্ত পানি প্রবাহ, আবার অতিরিক্ত মাছ ধরার মতো বিষয়গুলো পানি দূষিত করছে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে সাগরটির পানির বৈশিষ্ট্যই হারিয়ে যেতে পারে। এটা কেবল প্রাণীদের জন্যই উদ্বেগজনক না, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে।

‘স্মার্ট উপসাগর’ হিসেবে পরিচিত গবেষণাগারটি ব্যবহার করে ভূমধ্যসাগরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন পরিবেশবিদ আর জীববিজ্ঞানীরা। পরিবেশ বান্ধব পর্যটন খাত তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

এনএনআর/

Exit mobile version