Site icon Jamuna Television

অর্থবছর শুরুই হয়েছে রাজস্ব ঘাটতি দিয়ে

লক্ষ্যের চেয়ে কম অভ্যন্তরীণ আয় হয়েছে অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে। করোনা সংক্রমণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে উৎপাদন। পাশাপাশি সংস্কার উদ্যোগেও পিছিয়ে ছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর। মূলত এই দুই কারণেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না রাজস্ব আয়। বিশ্লেষকদের পরামর্শ, ভ্যাট আইন কার্যকর করা ছাড়াও খুঁজে বের করতে হবে নতুন করদাতাদের।

পণ্যবাহী ট্রাকের জটলা, শ্রমিকের হাকডাকে সব সময়ই কর্মব্যস্ত থাকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর। যদিও করোনার কারণে কমেছে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থল বন্দরের ব্যস্ততা। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে টান পড়ায় কমেছে রাজস্ব আয়ও। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে লক্ষ্যের তুলনায় এই বন্দরে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি টাকা।

শুধু ভোমরাই নয়, করোনা সংক্রমণের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির থাকায় সামগ্রিক রাজস্ব আদায়েই মন্দাবস্থা। উৎপাদনেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আশানুরূপ হচ্ছে না রাজস্ব আয়। অর্থবছরের প্রথম জুলাইয়ে লক্ষ্যের চেয়ে কমেছে সার্বিক রাজস্ব আদায়। তবে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলছেন, উৎপাদন বাড়লেই রাজস্ব আয়ে গতি ফিরবে। তাই উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ তার।

তবে রাজস্ব আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রমে গতি নেই। পুরোপুরি বাস্তায়ন হয়নি ভ্যাট আইনও। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানালেন, করোনা সংক্রমণের কারণে স্থাপন করা যাচ্ছে না, লেনদেন যন্ত্র ইএফডি। এছাড়াও অনলাইন কার্যক্রম বাস্তবায়নে রোডম্যাপ তৈরি করাও জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

রাজস্ব আদায় না বাড়ানো গেলে, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বাড়বে ঋণ। পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র থেকেও অর্থ সংগ্রহ বাড়ালে সুদ বাবদ দায় বাড়বে।

Exit mobile version