Site icon Jamuna Television

ক্ষোভে নাটোরে শতাধিক ভিয়েতনামী নারিকেল গাছ কেটে ফেললেন কৃষি উদ্যোক্তা

ফাইল ছবি।

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর:

ফল উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার, দেশীয় ফলের প্রসার এবং সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করছেন নাটোরের কৃষি উদ্যোক্তা সেলিম রেজা। নাটোরের আহমেদপুরে ও ডালসড়কে ‘দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম এন্ড নার্সারি’ নামে প্রায় দেড়শ’ বিঘা ফল সাম্রাজ্যে শতাধিক জাতের ফলের উৎপাদন করেছেন তিনি। তবে এবার ক্ষোভে নিজের জমিতে লাগানো ১০৭টি ভিয়েতনামী নারিকেল গাছ কেটে ফেলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় এই গাছ কাটার ঘটনা ঘটে। প্রায় ৬ বছর আগে সোয়া ২ বিঘা জমিতে নারিকেল বাগানটি গড়ে তুলেছিলেন তিনি।

কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাজ থেকে ১১টিসহ এই কৃষি উদ্যোক্তার ঝুলিতে রয়েছে কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ মোট ৭৪টি পুরস্কার। এবার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে ক্ষোভে নিজের বাগানের ১০৭টি ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেল গাছ কেটে ফেলেছেন সুপরিচিত এই কৃষি উদ্যোক্তা।

সেলিম রেজা অভিযোগ করেন, স্থানীয় হর্টিকালচারের কর্মকর্তাদের পরামর্শে ৬ বছর আগে ঢাকার খামারবাড়ি ও নাটোর হর্টিকালচার সেন্টার থেকে তিনি ১০৭ টি ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেলের চারা কিনেছিলেন। এক একটি চারার মুল্য ছিল ৫০০টাকা।

তার অভিযোগ, কেনার সময় বলা হয়েছিল দুই বছরের মাথায় ফল ধরবে। কিন্তু ছয় বছরেও নারকেল তো ধরেইনি, এর ওপর গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে। এই ছয় বছরে বিশ লাখ টাকা ক্ষতি হয়ে বলে দাবী তার।

সেলিম রেজা আরও জানান, ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেলের অধিক ফলন হবে এমন আশ্বাস দিয়ে নাটোর হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা প্রচারণা চালায়। তাদের কথা বিশ্বাস করে নাটোরের প্রথম কৃষক হিসাবে লাভের আশায় তিনি সেই নারকেল গাছ রোপন করেন। গাছ বড় হয়েছে কিন্তু নারকেল ধরেনি। এরপরই গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

চটকদার বিজ্ঞাপন আকৃষ্ট হয়ে কোনও উদ্যোক্তা যেন প্রতারিত না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে উল্লেখ করে সেলিম রেজা জানান, কোন গাছটা এ দেশের আবহাওয়া উপযোগী তা জেনে গাছ লাগাতে হবে।

গত তিন বছর ধরে এই নারকেল চারা বিক্রি বন্ধ রাখলেও নাটোর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক একবাক্যে জানান, সঠিক পরিচর্যা না করায় ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেল গাছে ফল আসেনি।

Exit mobile version