Site icon Jamuna Television

অস্ট্রেলিয়ার সামনে টার্গেট ৮৬ রান

অলৌকিক কিছু না হলে অস্ট্রেলিয়ার চট্টগ্রাম টেস্ট জয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। লায়নের ঘুর্ণিতে মাত্র ১৫৭ রানে শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার সামনে টার্গেট মাত্র ৮৬ রান। এরিমধ্যে অর্ধেকের বেশি রান তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য সাজঘরে ফিরেছেন ওয়ার্নার ও স্মিথ।

৭২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। প্যাট কামিন্সের বলে রেনশ’র হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১২ রান করে লায়নের বলে স্টাম্পড হন তামিম ইকবাল। দলের রান তখন ৩২। এরপর ৩৯ রানের মধ্যেই ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসানকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে বিপর্যয়ে ফেলেন লায়ন। নাসির হোসেনকে ওকিফ নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করলে ৪৩ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে দলের সংগ্রহ ৯৭তে নিয়ে যান মুশফিক-সাব্বির। কিন্তু লাঞ্চের পর লায়নকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন সাব্বির। ফিরে যান ২৪ রানে তুষ্ট থেকে। এরপর মুশফিকও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ফিরেছেন কামিন্সের বলে ক্যাচ দিয়ে। টেস্টে বাংলাদেশ দলের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও সফল ব্যাটসম্যান মুমিনুল এই ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন ৮ নম্বরে। ২৯ রানে তাকে ফিরিয়ে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেন লায়ন। এরপর তাইজুলের উইকেটটিও গেছে তার ঝুলিতে। শেষ ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজ যখন ওকিফের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তখন বাংলাদেশ দলের ইনিংস শেষ হয় ১৫৭ রানে।

এর আগে ৯ উইকেটে ৩৭৭ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল অসিরা। নাথান লিওন ও স্টিভ ও’কিফের শেষ জুটি আর কোনও রান করতে পারেননি। প্রথম ওভারে সাকিব আল হাসান রান করতে দেননি ও’কিফকে। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বল হাতে নেন। লায়ন তার চারটি বল সামলে নিলেও পঞ্চম বলে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দেন।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩০৫ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ডেভিড ওয়ার্নারের ১২৩ রান ও পিটার হ্যান্ডসকম্বের ৮২ রানে তারা সাড়ে তিনশ’র উপর রান করে। বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজ নেনে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। ৩টি উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version