Site icon Jamuna Television

নাটোরের যে গ্রামটি ইমো প্রতারকদের ‘সদর দফতর’

নাটোরের লালপুর উপজেলায় বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম হয়ে উঠেছে ইমো প্রতারকদের ‘সদর দফতর’। গ্রামটিতে বিভিন্ন বয়সী অনেকেই জড়িয়ে পড়েছে মোবাইল অ্যাপ ইমো প্রতারণার সাথে।

বিলমাড়িয়া নামক প্রত্যন্ত এই ইউনিয়নটির ১৭টি গ্রামে প্রায় ২৮ হাজার মানুষের বসবাস। আদতে কৃষি প্রধান এলাকা। তবে এই এলাকাতেই যে ডিজিটাল জালিয়াতি চক্র গড়ে উঠেছিল তা ভাবনাতেও আসেনি অনেকের।

মূলত চক্রটি এ কাজে ব্যবহার করতো মোবাইল অ্যাপ ইমো। প্রথমে তারা মোবাইলে মেয়ে কণ্ঠে চালাতো কথাবার্তা। সম্পর্ক স্থাপন করে এক পর্যায়ে হাতিয়ে নিতো প্রবাসীদের অর্থ। ইমো হ্যাকাররা জানালেন, নারীকণ্ঠে ইমোতে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রকমের প্রস্তাব দিতেন তারা। কেউ কেউ প্রস্তাবে রাজি হয়ে পাঠিয়েও দিতো টাকা। আর এভাবেই চলতো তাদের প্রতারণার বাণিজ্য।

দৃশ্যমান কোনো কাজকর্ম না করলেও প্রত্যন্ত এলাকায় হ্যাকাররা গড়েছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়িঘর। তবে কীভাবে তারা হঠাৎ এতো সম্পদ গড়লেন? এক হ্যাকারের মা জানালেন, তার ছেলে মোবাইলে কাজ করে টাকা আয় করেছে। তবে এখন আর সে এসব কাজ করে না।

তবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানালেন, ইমোর মাধ্যমে প্রতারণা বন্ধে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। এছাড়া তিনি প্রবাসীদের এসব অ্যাপন ব্যবহারে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নাটোরে ধরা পড়েছে ইমো প্রতারক চক্রের প্রায় ৮০ জন সদস্য।

Exit mobile version