Site icon Jamuna Television

ধাপে ধাপে চড়ছে আটা ও ময়দার দাম

চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় আটা ও ময়দার দর বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। অথচ এর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। পাইকারদের দাবি, চাহিদার তুলনায় অর্ধেক পণ্য দিচ্ছে ডিলাররা। বড় ক্রেতা ফিরিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। যদিও সংকটের জন্য আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন ডিলাররা।

কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপে উৎপাদিত গম আসে বাংলাদেশে। কিন্তু মহামারির শুরু থেকেই যোগানে ঘাটতি। কারণ, বাড়তি লাভের আশায় গম মজুদ করছেন বিদেশের চাষিরা। যোগ হয়েছে জাহাজের বাড়তি খরচও। যদিও এশিয়ার অন্যান্য দেশে গম উৎপাদন স্বাভাবিক। পণ্য আমদানির সুযোগ আছে সেখান থেকেও।

তারপরও ৬ মাস ধরে আটা-ময়দার বাজার ঊর্ধ্বমুখী। দাম বাড়ছে ধীরে ধীরে, কয়েক দফায়। সবশেষ অবস্থা, প্রতি কেজি আটার জন্য গুনতে হবে ৪০ টাকা। জানুয়ারিতে যা ছিলো ২৮ টাকার আশপাশে। একই অবস্থায় ময়দার দরে। চলতি বছরের শুরুর তুলনায় পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা।

ফলাফল, আড়তে আগের মত নেই বস্তার সারি। কিছু পাইকারের গুদামে ময়দা থাকলেও, আটা নেই বললেই চলে। খোলা পণ্য বিক্রি হচ্ছে হাতেগোনা দোকানে। ব্যবসায়ীদের দাবি, হঠাৎ রেঁস্তোরা খোলায় আটা-ময়দার চাহিদা বেড়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তাহলে কয়েক মাস ধরে দাম কেন বাড়লো?

পণ্য নেই আমদানিকারক ও ডিলারদের কাছেও। তাদের যুক্তি, কোরবানির ঈদের পর ভুষির দাম কমায় তার প্রভাব পড়ে আটা-ময়দার বাজারে। তার ওপর করোনাকালে নানা জটিলতায় গম আমদানি কম হয়েছে বলেও ডিলারদের দাবি।

তবে ক্রেতারা বলছেন, গমজাতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ায় দেশে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া উচিত।

Exit mobile version