Site icon Jamuna Television

প্রলোভনে পড়ে মিয়ানমারে চলে যাচ্ছে পাহাড়িরা!

মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে যখন বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা তখন বিপরীত ঘটনাও ঘটছে। বান্দরবানসহ পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের রাখাইনে নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারে দালাল চক্র। নানা চেষ্টার পরও এই মানবপাচার বন্ধ করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন।

সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে যমুনা নিউজ। আলী কদমের দুর্গম চেঙ্গী আগাপাড়ার পথে পাওয়া গেছে মারমা সম্প্রদায়ের বেশকিছু মানুষকে। রেমাক্রী ইউনিয়নের উসাথোয়াই পাড়া থেকে পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ছুটছে তারা। চেঙ্গী আগাপাড়া থেকে তাদের যাওয়ার কথা মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা শহর মংডুতে।

দালালদের খপ্পরে পড়ে মিয়ানমারের পথে একদল পাহাড়ি

স্থানীয়রা বলছেন, চলতি মাসে কেবল উসাথোয়াই পাড়া থেকে নয়টি পরিবার পাড়ি জমিয়েছে মিয়ানমারে। আর গেল কয়েক বছরে বান্দরবানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শতাধিক পরিবারকে রাখাইনসহ বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ে গেছে দালাল চক্র। নানা প্রলোভনে তাদের ফাঁদে ফেলছে প্রতারকরা।

জানতে চাইলে মিয়ানমারের পথে পা বাড়ানো রাখাইনদের কয়েকজন জানান, তারা আমাদের গরু-ছাগল দিবে, ঘরবাড়ি করে দিবে, ৭ বছর খাওয়া দেবে। এই নিশ্চয়তা পেয়ে আমরা সেখানে চলে যাচ্ছি।

চেঙ্গী আগাপাড়া ছাড়াও সীমান্তের অরক্ষিত বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়ে কমবেশি প্রতিদিনই মিয়ানমারে নেয়া হচ্ছে বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের। নানা উদ্যোগ নিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না এই মানবপাচার।

মংডুতে এভাবেই রাখা হচ্ছে তাদের

রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুই সুই থুই বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি তাদের। খাদ্য কর্মসূটি, সোলার সিস্টেম- এরকম অনেক সুবিধা তাদের দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানালেন, মিয়ামানমারে রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত নিধন শুরুর পর সীমান্তে মানবপাচার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

যমুনা অনলাইন: আরকে/টিএফ

Exit mobile version