Site icon Jamuna Television

করোনায় পেশা হারিয়ে ‘ফগিং ক্লাউন’ হলেন সাহারুল

মানুষকে আনন্দ দিতে ফগিং ক্লাউন সেজে বাড়ি বাড়ি করেন জীবাণুনাশক স্প্রে

ছবি: সংগৃহীত

করোনায় পেশা হারিয়ে ‘ফগিং ক্লাউন’ হলেন মালয়েশিয়ার এক ব্যক্তি। ভাঁড় সেজে খেলা দেখানোর বদলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করেন জীবানুনাশক স্প্রে। তবে দেড় বছর পেরোলেও, ছাড়তে পারেননি ক্লাউনের পোশাক। মজার অঙ্গভঙ্গি করে চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান পেশা। বলছেন, কঠিন সময়ে মানুষকে নিখাদ আনন্দের দিতেই তার এ উদ্যোগ।

বছর দেড়েক আগেও মালয়েশিয়ার তাইপিং অঞ্চলের রাস্তায় এভাবেই দেখা যেত সাহারুল হাসিম নামের এই ব্যক্তিকে। কিন্তু করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে অনেকের মতো পেশা হারিয়েছেন তিনিও। জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবানুনাশক স্প্রে করেন ক্লাউন সাহারুল। কিন্তু ছাড়তে পারেননি প্রিয় সেই সাজ-পোশাক আর মানুষকে আনন্দ দেয়ার নেশা।

এ বিষয়ে সাহারুল হিসাম বাহারুদ্দিন বলেন, এই সেবা এখন সব জায়গাতেই চালু আছে। কিন্তু আমার কাজ করার স্টাইল আলাদা। এই পার্থক্যটা আমার সাজপোশাকে। আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে কাজ করার চেষ্টা করি।

করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর শুরু থেকেই লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যায় সবকিছু। একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েন সবাই। আর এজন্যই মানুষকে নিখাদ আনন্দের স্বাদ দিতে আবারও পরনে তুলে নেন প্রিয় সেই পোশাক।

এছাড়া শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই প্রথম এ কাজের কথা মাথায় আসে সাহারুলের। দীর্ঘদিন ঘরে আটকে থাকায় শিশুদের মনে যে দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব পড়েছে, তা কাটাতেই বিভিন্ন মজার অঙ্গভঙ্গি করেন। নেচে, গেয়ে, বেলুন দিয়ে শিশুদের দেন ক্ষণিকের আনন্দ।

সাহারুল হিসাম বাহারুদ্দিন আরও জানান, সবাই-ই আসলে মানসিক চাপের মধ্যে আছে। তাই এমন সময়ে মানুষকে একটু আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করি। অল্প সময়ের জন্য হলেও তাদের মুখে হাসি তো ফোটাতে পারছি।

এরই মধ্যে সাহাতুলের এ কাজে মালয়েশিয়া জুড়ে দ্যুতি ছড়িয়েছে। ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। পরিচিতি পেয়েছেন ‘ফগিং ক্লাউন’ নামে।

সেবা গ্রহীতা নূরসাহিরা সাফারুদ্দিন জানান, মহামারির এই সময়ে সবাই সংগ্রাম করছি। জীবাণু ধ্বংসের সাথে সাথে আমাদের পরিবারকে আনন্দ দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে শিশুদের। যা প্রসংশার যোগ্য।

বাড়ি জীবানুমুক্ত করার পাশাপাশি এখন তিনি ডাক পাচ্ছেন বড় বড় শপিং মল ও দোকানগুলোতেও। করোনা মহামারি শেষ না হওয়া অবধি এ কাজ চালিয়ে যাবার আশাবাদও তার।

এনএনআর/

Exit mobile version