Site icon Jamuna Television

মানসিক চাপে আছেন? মুক্তি পেতে চেষ্টা করুন ৬টি উপায়

ছবি প্রতীকী

মানসিক অবসাদ ও মানসিক চাপে ভুগছেন অনেক মানুষ। দৈনন্দিন জীবনে কাজের ব্যস্ততা, সাফল্যের ক্ষুধা, প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে অসংখ্য কারণে এই সমস্যায় যারা ভুগে থাকেন, অবসাদ ছাপিয়ে তা আক্রান্ত করতে পারে শরীরকেও।

শরীর এই মানসিক চাপ সহ্য করতে পারে না লম্বা সময়। বিষণ্নতা, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগ বাসা বাধতে পারে মানসিক চাপ বহন করার কারণে।

এই চাপ থেকে মুক্তিরও আছে কিছু উপায়। চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে।

১. যোগ ব্যায়াম:

মানসিক চাপ কমানোর কার্যকরী উপায় হচ্ছে যোগ ব্যায়াম বা ইয়োগা। এটি আপনাকে ধীরস্থির এবং নমনীয় করে তুলে শারীরিক উত্তেজনা থেকে মুক্তি দিতে পারে।  গবেষণায় দেখা গেছে, যোগ ব্যায়াম রক্তচাপও কমায়।
এ ছাড়া যোগ ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি মানসিক মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

২. হাঁটা-হাঁটি:

চাপ কমানোর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন হাঁটাহাঁটি করা।  ঘন ঘন হাঁটা মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়। 

৩. বাগান করা:

ভালো সময় কাটানোর জন্য গার্ডেনিং বা বাগান করা একটি ভালো উপায়।  আপনার চাপ কমাতে বাগান করতে এবং তার পরিচর্চায় কিছু ব্যস্ত সময় কাটাতে পারেন।

৪. ফুটবল খেলা:

ফুটবল খেলায় অনেক স্ট্রেস-সম্পর্কিত অবস্থা যেমন, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এটি যেহেতু আপনি একা খেলতে পারবেন না, তাই এর মাধ্যমে আপনাকে অন্যদের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে। আর এটি হচ্ছে, স্ট্রেস কমানোর একটি মূল উপাদান।

৫. ঘরোয়া ব্যায়াম:

এটি হচ্ছে ঘরোয়া ব্যায়ামের একটি সিরিজ, যা চাপ কমানোর পাশাপাশি শরীরের সচেতনতা, মূলশক্তি এবং সঠিক সারিবদ্ধকরণের ওপর বিশেষভাবে উপকারী হিসেবে কাজ করতে পারে। ফিটনেস বিশেষজ্ঞ এলেন ব্যারেট বলেন, পেশিকে শক্তিশালী ও দীর্ঘায়িত করার এবং শারীরিক সম্প্রীতি তৈরি করতে অনেক কার্যকরি হচ্ছে পাইলেটস ব্যায়াম। আর এটি করলে তা আপনার চাপকে শরীর থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে।

৬. নাচ:

শুনতে অবাক লাগলেও নাচের অনেক শারীরিক ও মানসিক উপকার রয়েছে। এটি চাপ কমানোর জন্য একটি দুর্দান্ত অনুশীলন, যা আপনার হৃদস্পন্দন বাড়ানোর সাথে সাথে অনুগ্রহ এবং তৎপরতা বৃদ্ধিতেও উপকারি। এ ছাড়া গবেষকরা দেখেছেন যে, যারা সপ্তাহে দুবার কিছু সময় নাচেন তাদের ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

তথ্যসূত্র: এভরিডে হেলথ ডটকম

Exit mobile version