Site icon Jamuna Television

শীঘ্রই রাশিয়ান ভ্যাকসিন পাচ্ছে না বাংলাদেশ

টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ডক্টর আহমদ কায়কাউস।

রাশিয়ান টিকা স্পুটনিক ভির দুই ডোজ আলাদা হওয়ায় এখনও নিশ্চয়তা মেলেনি দ্বিতীয় ডোজের। তাই রাশিয়া থেকে সাত কোটি ডোজ টিকা কেনার বিষয়টি অনিশ্চিত। টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ডক্টর আহমদ কায়কাউস জানিয়েছেন এমন তথ্য। তবে চীনের সাথে সাড়ে সাত কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের চুক্তি হওয়ায় টিকা নিয়ে কোনো সংকট হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

এ বছরের শুরুতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম বাণিজ্যিক চালান আসে দেশে। তিন কোটি ডোজ কিনলেও মাত্র ৭০ লাখ দেয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা। ফলে প্রথম ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বিতীয়টির অপেক্ষায় ছিলেন পনের লাখ মানুষ। তখন প্রশ্ন উঠেছিল একক উৎসের কেন নির্ভর করছে সরকার?

ডক্টর আহমদ কায়কাউস এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সেই সময় একাধিক উৎস সহজলভ্য ছিল না। চীনা টিকাগুলোর অনুমোদন ছিল না, ওই টিকাগুলো তারা তখন বাজারজাতও করেনি। তাছাড়া ফাইজার আর মডার্নার টিকা সে সময় কেনার সুযোগ ছিল না, এমনকি টিকাগুলো এখনও কেনা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

চীনের সাথে প্রথমে দেড় কোটি ও পরে ৬ কোটি, মোট সাড়ে সাত কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এখন পর্যন্ত ঝামেলা ছাড়া প্রতিমাসে অন্তত ৫০ লাখ করে তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। মূখ্য সচিব বললেন, পাইপলাইনে কোভ্যাক্সসহ অন্যান্য উৎস থেকে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সব মানুষের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে টিকা। টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রধান ওই কর্মকর্তা বলেন, টিকা পেলে দুই মাসের মধ্যে দেশের ষোলো কোটি মানুষকে টিকা দিয়ে ফেলার প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।

বছরের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক ভি পাওয়া নিয়ে। বলা হয়েছিল, ৭ কোটি টিকা বেচা কেনার বিষয়ে নীতিগতভাবে রাজি ঢাকা ও মস্কো, তৈরি হয়েছে চুক্তির কাগজপত্রও। তবে এতদিনেও সেই টিকার দেখাই পায়নি বাংলাদেশ। ড. কায়কাউস জানান, দ্বিতীয় ডোজের নিশ্চয়তা ছাড়া রাশিয়ান টিকা সংগ্রহ করছেন না তারা। রুশ কর্তৃপক্ষকে প্রথম ডোজ দেয়ার একমাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ সরবরাহ করার শর্ত দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারা এখনও সে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বলেই টিকা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

Exit mobile version