Site icon Jamuna Television

শিশুদের ম্যালেরিয়া টিকার অনুমোদন দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ছবি: সংগৃহীত

আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের শিশুদের জন্য প্রথমবারের মতো ম্যালেরিয়া টিকার ছাড়পত্র দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে যে ভ্যাকসিনে অনুমোদন মিলেছে, তার নাম ‘আরটিএস, এস/এএস জিরো ওয়ান’। প্রচলিত নাম ‘মস্কুইরিক্স’। খবর বিবিসির।

বুধবার (৬ অক্টোবর) এ টিকার অনুমোদন দেয় ডব্লিউএইচও। এই ছাড়পত্রকে ঐতিহাসিক বলছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, টিকাটি প্রখ্যাত ব্রিটিশ ফার্মা সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) এর ৩০ বছরের গবেষণার ফল। আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংগঠন ‘প্রোগ্রাম ফর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি ইন হেলথ’ এবং আফ্রিকার বেশ কিছু গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করেছে জিএসকে।

আরও জানায়, মূলত আফ্রিকা মহাদেশে শিশুদের মধ্যে মহামারি আকার ধারণ করেছে ম্যালেরিয়া। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিকায় প্রতিবছর পাঁচ বছরের নীচে আড়াই লক্ষেরও বেশি শিশুর ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হয়।

বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও এর মহাসচিব টেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শিশুদের জন্য বহু প্রতীক্ষিত এই ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন আদতে বিজ্ঞান, শিশু স্বাস্থ্য এবং ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি যুগান্তকারী প্রমাণিত হবে।

টিকাটি যদিও এর আগেই নিরাপত্তার ছাড়পত্র পেয়েছিল। ২০১৯ সালে পাইলট দেশ হিসাবে ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউইতে টিকাকরণ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ম্যালেরিয়ার টিকা পায় প্রায় ৮ লক্ষ শিশু। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৩ লক্ষ শিশুকে এই টিকা দেয়া হয়েছে। এই বিপুল ডেটা থেকেই মিলেছে ইতিবাচক ফলাফল। সেই কারণেই আফ্রিকায় ম্যালেরিয়াপ্রবণ দেশগুলি জুড়ে আরও দ্রুত টিকাকরণের সুপারিশ করেছে ডব্লিউএইচও। ওই দেশগুলোতে সিভিয়ার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

Exit mobile version