Site icon Jamuna Television

কুমিল্লায় চাচাতো ভাইয়ের দায়ের কোপে এসএসসি পরীক্ষার্থীর কব্জি বিচ্ছিন্ন

কুমিল্লা ব্যুরো:

কুমিল্লার মুরাদনগরে মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের দায়ের কোপে জিহাদ মোল্লা (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আহত শিক্ষার্থী জিহাদ মোল্লা উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বল্লবদী গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে। সে জাহাপুর কমলাকান্ত একাডেমি অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় মানিক মোল্লার সঙ্গে তার ছোট ভাই প্রবাসী আক্তার মোল্লার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের কথাকাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ঘর থেকে ধারালো দা এনে মরিয়মের ছেলে মেহেদী হাসান চাচা মানিক মোল্লার মাথায় কোপ দিতে যান। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে জিহাদ মোল্লা এগিয়ে এলে দায়ের কোপে তার ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এসময় চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাতেই বাবা-ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আহত আরও দুজন মুরাদনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মুরাদনগর উপজেলা আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জিহাদ মোল্লাকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় তার ডান হাতের কব্জি আলাদা অবস্থায় দেখে দ্রুত ব্লিডিং বন্ধ করে ব্যান্ডেজ দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, দায়ের কোপে ছেলের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় মা সালেহা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

Exit mobile version