Site icon Jamuna Television

যশোর বোর্ডের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে এখনও হয়নি মামলা

যশোর শিক্ষাবোর্ডে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। ধরা পড়েনি শিক্ষাবোর্ডের হিসাব শাখার সহকারী আব্দুল সালাম।

তবে এ ঘটনায় গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাল থেকে কাজ শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে ৯টি চেকের মাধ্যমে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকা ইস্যু করা হয়। কিন্তু ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং শাহী লাল স্টোর নামের দুটি প্রতিষ্ঠান এ ৯টি চেক ব্যবহার করে শিক্ষাবোর্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে দুই কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০টাকা তুলে নিয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয় যাচাইয়ের জন্য ব্যাংক হিসাব মিল করতে গিয়েই বোর্ডের অডিট শাখা এই জালিয়াতির প্রমাণ পায়। সাথে সাথে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অডিট টিমের পক্ষ থেকে যশোর বোর্ডের সচিব বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের আয়-ব্যয় বোর্ডের সকল অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের সাথে মিল করতে গিয়ে বড় ধরনের অমিল ধরা পড়ে। ওই দুটি প্রতিষ্ঠান চেকগুলোর বিপরীতে দুই কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করেছে। এ টাকার বিপরীতে প্রতিষ্ঠান দুটি বোর্ডে কোনো মালামাল সরবরাহ করেছে কিনা, তার কোনো তথ্যও বোর্ড স্টোরে নেই।

২০২০ সালের ৩০ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ৯টি চেক দিয়ে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ৯টি চেক ছাড়াও আরও জালিয়াতি আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বোর্ডের ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয় হিসাব করতে গিয়ে ৯টি চেক জালিয়াতির বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করবো, সাধারণ ডায়রি করবো, আইনের আশ্রয় নেবো। আশা করছি, এর সাথে কারা জড়িত তা বেরিয়ে আসবে।

Exit mobile version