Site icon Jamuna Television

যাজকের আশীর্বাদ পেলে সুস্থ থাকবে কুকুর বিড়াল!

ছবি: সংগৃহীত

পেরুতে এক বছর বিরতির পর আবারও শুরু হয়েছে পোষা প্রাণীদের আশীর্বাদের বিশেষ আয়োজন। রাজধানী লিমার একটি গীর্জায় প্রিয় পশুকে নিয়ে জড়ো হয়েছেন শতশত মানুষ। তাদের বিশ্বাস যাজকের আশীর্বাদ পেলে সুস্থ থাকবে তাদের কুকুর-বিড়াল। ইতালিয়ান ধর্মগুরু সেইন্ট ফ্রান্সিসের স্মরণে বহু বছর ধরে চলছে এই আয়োজন।

প্রাচীন রীতি মেনে দেশটিতে বহু বছর ধরে চলছে প্রাণীদের আশীর্বাদের আয়োজন। তবে করোনা মহামারির কারণে এক বছর বিরতির পর আবারও শুরু হয়েছে বার্ষিক এই চর্চা। আয়োজকরা বলেছেন, মহামারি রোধে মাস্ক পরা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

রেনালদো গামারা নামে পেরুর এক ধর্মযাজক বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত বছর আমাদের এই আয়োজন বন্ধ ছিলো। প্রকোপ অনেকটাই কমে যাওয়ায় আবারও শুরু হয়েছে। প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আশীর্বাদ নিতে এসেছেন অনেকে। আমরাও উৎসাহ দিতে কাজ করছি।

মূলত, ধর্মীয় যাজকরা পশুর শরীরে ছিটিয়ে দেন পবিত্র পানি। আর গীর্জায় হাজির হওয়া এসব পশুপ্রেমীদের বিশ্বাস যাজকের এই আশীর্বাদেই সুস্থ থাকবে তাদের প্রিয় পোষা প্রাণী।

নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে গীর্জার সামনে হাজির হওয়া একজন বলেন, সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা যে সশরীরে এখানে হাজির হতে পেরেছি। প্রিয় কুকুরের সুস্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ নিতে পারছি। এট সত্যিই দারুণ অনুভূতি।

আশীর্বাদ নিতে এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক পশুপ্রেমী বলেন, করোনার কারণে গেলো প্রায় দুই বছর ঘর থেকেই বের করতে পারিনি প্রাণীটিকে। এই প্রথম বাড়ির বাইরে এতদূর ওকে নিয়ে এসেছি।

১১৮২ খ্রিষ্টাব্দে ইতালিতে জন্ম নেয়া ধর্মগুরু সেইন্ট ফ্রান্সিস ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী। তার স্মরণেই বহু বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছে পেরু।

Exit mobile version