Site icon Jamuna Television

এবারও চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক

আগের ম্যাচে দানবীয় ইনিংস খেলে একাই দলকে জিতিয়েছিলেন। বুধবারও চেষ্টা করেছিলেন আপ্রাণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত সঙ্গী না পাওয়া কাঙ্খিত জয়ের মুখ দেখাতে পারেননি দলকে।

পাঠক নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন কার কথা বলা হচ্ছে! হ্যাঁ, মুশফিকু রহিম। ভারতের সাথে নিদাহাস ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে একাই দলকে টেনে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৭২ রান।

তবে আগের ম্যাচের মতো এবার তার ইনিংসটি ম্যাচ-জয়ী হয়ে উঠতে পারলো না। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে হেরে গেছে ১৭ রানে।

প্রথম ব্যাট করে রোহিত শর্মার ৮৯ রানে ৩ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে মুশফিকের লড়াইয়ের পরো ৬ উইকেটে ১৫৯ এ থামতে হয় টাইগারদের। এই জয়ে সবার ফাইনাল নিশ্চিত করলো ভারত।

টুর্নামেন্টে পরে ব্যাট করা দলই জিতেছিলো, সেই রেকর্ড থেকেই কিনা মাহদুদুল্লাহ বল বেছে নেয়া। কিন্তু প্রেমাদাসার এদিনের উইকেট ছিলো শুষ্ক। দুই দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ধরনেই পার্থক্য গড়ে দিলো ম্যাচের। বিশেষ করে রোহিত শর্মা।

হাতে উইকেট থাকলে, তার ফল যে মিলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তাই যেনো শেখালেন ভারতীয় অধিনায়ক। প্রথম ১০ ওভারে যখন ৭১, তখন বাকি অর্ধেকে কিনা ভারত তুললো ১০৫ রান। তাই তো আবু হায়দার রনির প্রথম ওভারে ২ রান দিলেও নিজের শেষ ওভারে দিলেন ২০ রান।

শিখর ধাওয়ান-রোহিত মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ভাঙে দলীয় ৭০ রানে। কিন্তু এরপরেই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন রোহিত একাই । রায়না ৪৭ রান করলেও, মুল ধ্বংসযজ্ঞ চালান রোহিত। তার ৬১ বলে ৮৯ রানের ইনিংস ভারতকে শুধু দেড়শো পেরিয়ে দেয়নি, এনে দেয় ১৭৬ রানের পুজি।

গেল ম্যাচে ২১৪ পেরোনো দলটির কাছে হয়তো বড় স্কোর নয়। কিন্তু এই উইকেট সেই লক্ষ্যটাকে পাহাড়ে চড়িয়ে দেয় টাইগার টপ অর্ডার।

ওয়াশিংটন সুন্দরের সৌন্দর্যে কুপোকাত লিটন দাস-সৌম্য সরকার। আগ্রাসী তামিম শারদিলের ওভারে ১৯ রান তুললেও, ধরা পড়ে সেই ওয়াশিংটন সুন্দরের কাছে ২৭ রানে। ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ ছিটকে যায় তখনই।

সেখান থেকে অবশ্য একাই লড়েছেন মুশফিকুর রহিম। সাব্বির ২৭ রান করেছেন ঠিকই, দলের চাহিদা মেটাতে পারেননি। তড় তড় করে রান রেটেটাও তাই চলে যাচ্ছিলো নাগালের বাইরে, মুল্যহীন হয়ে যায় মুশফিকের ৭২ রানের ইনিংসও।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একই রান করতে মুশি যেখানে খেলেছিলেন ৩৫ বল এবার তার চেয়ে ২০ বল বেশি। দুদলের পাথক্য ঐ ১৭ রানেরই।

এই হারে, শুক্রবারের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ এখন অলিখিত সেমিফাইনালে। যে জিতবে সেই দলই ফাইনালে সঙ্গী হবে ভারতের।

যমুনা আনলাইন:আরএম

Exit mobile version