Site icon Jamuna Television

বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে: চুমকি

বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরী ও কিশোররা নানা ধরনের মনোদৈহিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এ সময় যেন তারা কোনো ভুল করে না বসে সে বিষয়ে বাড়তি নজর রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ব কন্যাশিশু দিবসে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কিশোরী-কিশোরদের আত্ম-উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবেশের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল), আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) যৌথভাবে রাজধানী ঢাকায় এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মেহের আফরোজ চুমকি আরো বলেন, কিশোরী-কিশোরদের সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সমাজে বাল্যবিয়ের প্রবণতা আমাদের কিশোরীদের চলার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। তাই বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িত পুরুষদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস বলেন, কন্যাশিশুদের অগ্রগতিতে এখন বড় ধরনের অন্তরায় হিসেবে রয়েছে বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ রোধ করতে আমাদের গ্রামে গ্রামে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিও আছে। তবে করোনা মহামারির এই সময়ে বাল্যবিয়ের বিষয়ে পর্যাপ্ত মনিটরিং এর অভাবে বাল্যবিয়ের হারটা হুট করে বেড়ে গিয়েছে। সমাজে কন্যাশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম, এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করা জরুরি।

চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি মাহফুজা জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে তিনজন কিশোরী-কিশোর অংশ নেন। সমাজে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে আত্ন-উন্নয়ন ও শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাস তৈরির মাধ্যমে ইতিবাচক সামাজিক প্রভাব তৈরিতে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন অংশীদার, ব্র্যান্ড ও সরকার যৌথভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তারা সে বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।

Exit mobile version