Site icon Jamuna Television

খালেদা জিয়ার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এসেছে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

প্রায় চার মাসের ব্যবধানে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গেলো কয়েকদিন ওঠানামা করছিল তার শরীরের তাপমাত্রা। তবে ভর্তি হওয়ার পর তাপমাত্রার উঠানামার যে সমস্যাটি ছিল তা আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে চলছে কিডনি, লিভারসহ দরকারি আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তাই আপাতত হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার শরীরে গত দুই তিন যাবত তাপমাত্রার উঠানামার যে সমস্যাটি ছিল তা আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তার শরীরে অক্সিজেনের স্যাচুরেশনও নিয়ন্ত্রণে আছে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বর্তমানে ঠিকঠাক আছে। তবে লিপিড প্রোফাইল ও রেনাল প্রোফাইল অর্থাৎ যথাক্রমে লিভার ও কিডনির জটিলতা বুঝতে যে পরীক্ষা করা হয় সেগুলোর রিপোর্ট আগামীকাল দুপুরের পর প্রকাশ করা হবে।

আরও জানা যায়, রিপোর্ট প্রকাশ করার পর ডাক্তাররা আগের রিপোর্টের সাথে তুলনা করেই বলতে পারবেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে নাকি উন্নতি হয়েছে। ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া হবে। এজন্যই ডাক্তাররা তাকে ২-১ দিন হাসপাতালে থাকতে বলেছেন।

এর আগে বিকেল পৌনে চার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে গাড়িতে করে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল নমুনা দেয়ার পর ১১ তারিখ খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ আসে। পরদিন সিটি স্ক্যান করাতে তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে ন্যূনতম সংক্রমণ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ১৯ জুন বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ইতোমধ্যে তিনি করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা পরবর্তী জটিলতা। এজন্য নিয়মিত বিরতিতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়।

Exit mobile version