Site icon Jamuna Television

‘শুধু শুল্ক কমালে তেল ও চিনির দরে কোনো প্রভাব পড়বে না’

ছবি: সংগৃহীত

তৌহিদ হোসেন:

শুধু শুল্ক কমালে তেল ও চিনির দরে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমদানি ব্যয় ও প্রচলিত দামের সাথে মিল থাকতে হবে। তা না হলে সুফল পাবে কেবল উৎপাদক কোম্পানি। এমন দাবি ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের।

অভিযোগ, করোনার লোকসান পুষিয়ে নিচ্ছে বড় ব্যবসায়ীরা। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে বিপদে পড়তে হবে। বাজার মানেই এখন মন খারাপের রাজ্য। ফর্দ হাতে হতাশ আনাগোনা ক্রেতাদের। বিনিয়োগ আর ব্যয়ের হিসাব মেলাতে ব্যস্ত খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়েনি দোকানে এমন পণ্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। দামের পারদ আরও চড়ে চিনি আর তেলের বাজারে।

সরকারের নতুন ঘোষণা এসব পণ্যের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর প্রত্যাহার হবে। এরপর দামে এদিক-ওদিক হলেই কঠোর হবে প্রশাসন। কিন্তু তাতে কী আসে যায়? আপাতত কোনো প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। খোলা চিনির কেজি এখনও ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। প্যাকেটজাত হলে দাম আরও বেশি। ৭শ’ টাকার নিচে মিলছে না সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতল। আর এসবের জন্য ডিলারদের দুষছেন ব্যবসায়ীরা।

ডিলাররা বলছেন, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর সুফল পাবে উৎপাদক কোম্পানি। দিন শেষে মিলগেটে দাম না কমলে ক্রেতার জন্য কোনো সুখবর নেই। এসব কোম্পানি দাম কতো কমাবে, তা নিয়েও সন্দিহান তারা। তাই শুধু খুচরা বাজারে অভিযান চালালে কোনো লাভ হবে না।

সরকারি হিসাব বলছে, গত এক বছরে দেশে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। চিনির ক্ষেত্রে এই হার ২৭ ভাগ।

ইউএইচ/

Exit mobile version