Site icon Jamuna Television

নেইমারের ‘কাণ্ডজ্ঞান’ নিয়ে প্রশ্ন সবার

বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং গতকাল বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ৭৬ বছর বয়সী এ মহান বিজ্ঞানীর পরলোকগমনে গোটা বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাকে সম্মান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম পোস্ট দিচ্ছেন আবালবৃদ্ধবণিতা।

ব্যতিক্রম নন ফুটবল সেনসেশন নেইমারও। হুইলচেয়ারে বসে হকিংকে অনুকরণ করে পোজ দেয়া একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন তিনি। অবশ্য সম্মান জানাতেই এ অভিনব পন্থার অবলম্বন তার। এর ক্যাপশনে ব্রাজিল যুবরাজজুড়ে দিয়েছেন হকিংয়ের বিখ্যাত সেই উক্তি- ‘সবসময় ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজের সেরাটা বের করে আনতে হবে।’

সম্প্রতি মার্সেইয়ের বিপক্ষে পিএসজির হয়ে খেলতে গিয়ে ডান পায়ে চোট পান নেইমার। এতে তার পায়ের পাতার হাড় ভেঙে যায়। সদ্য এর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তিনি রিও ডি জেনিরোও নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন। চোটের কারণে তাকে কিছুদিন হুইলচেয়ারের সাহায্য নিতে হয়েছে।

আর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ‘মোটর নিউরন’নামে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন হকিং। জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তাকে হুইলচেয়ারেই কাটাতে হয়েছে। হাঁটাচলা তো দূরে থাক, নড়াচড়াও করতে পারতেন না। কথা বলতে কম্পিউটারের সহায়তায়। তা সত্ত্বেও মানবসভ্যতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন তিনি।

এতেই ঘটেছে যত বিপত্তি। সারাজীবন বিজ্ঞান সাধনায় ব্রতী এ রকম একজনের মৃত্যুর ঠিক পরদিন এমন ছবি পোস্ট করায় সেলেকাও স্ট্রাইকারের ‘কাণ্ডজ্ঞান’ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সবাই।

একজন মন্তব্য করেছেন, নেইমার! কোনো নৈতিকতা বা সহানুভূতি নেই৷ তার সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাক। এমন কাণ্ডের জন্য কম করে হলেও ১০ বছর জেল হওয়া উচিত।

গাভ্রিয়েল খুব সাদামাটাভাবে এর ধিক্কার জানিয়েছে, লজ্জাকর। মাইক ও মন্তব্য, সপ্তাহের সেরা ইডিয়ট নেইমার। গ্র্যান্ট ওহেল লিখেছেন, আলোচনায় থাকতে চাও, ঠিক আছে। তবে এভাবে ঠিক নয়।

সাম্বা সুপারস্টারকে দ্রুত সেই পোস্ট মুছে দেয়ার অনুরোধ করেছেন সবাই। লুকাস লিখেছেন, মাই গড! নেইমার, আমার ছেলে, এটি মুছে দাও বাবা। একজন বলেছেন, তোমার ক্লিন ইমেজ ধরে রাখার জন্যই তা মুছে দেয়া দরকার।

Exit mobile version