Site icon Jamuna Television

ফিল্মি স্টাইলে ছাত্রী অপহরণকারী সেই যুবককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যপাড়া এলাকায় স্কুল শেষে বাসায় ফিরছিল এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী। শনিবার দুপুরের দিকে অপহরণকারীরা তাকে ফিল্মি স্টাইলে প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। সেই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। ওই রাতেই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয়া হলেও অপহরণকারী গ্রেফতার না হওয়ায় চলতে থাকে সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার অপহরণ চক্রের মূল হোতা জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সোমবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে বখাটে জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার জসিম বিদেশে ছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে স্কুলে ও কোচিংয়ে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার দুপুর আড়াইটায় স্কুল শেষে বাসায় যাওয়ার পথে জসিম ও তার সহযোগী ইরফান এবং আশিক ওই ছাত্রীকে টানাহ্যাঁচড়া করে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। তারা মেয়েটিকে আটকে রেখে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। এরপর সন্ধ্যার দিকে জসিম তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় তাকে নিয়ে যায়।

জানা যায়, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় এলাকায় জানাজানি হলে জসিম ছাত্রীকে রাত ৮টায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সে রাজধানীর বাড্ডায় তার এক স্বজনের বাসায় আত্মগোপন করে। অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জসিম তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিল।

অপহরণে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেফতার জসিম উদ্দিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দায়ের হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পরিদর্শক (অপারেশন) সোহরাব আল হোসাইন বুধবার সকালে জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে গ্রেফতার জসিম উদ্দিনকে র‌্যাব সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পাশাপাশি সিনিয়রদের সাথে আলোচনা করে বিজ্ঞ আদালত বরাবর গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে। তবে কয়দিন রিমান্ড চাওয়া হবে, এই বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানাননি।

ইউএইচ/

Exit mobile version