Site icon Jamuna Television

করোনার টিকা নেয়া শিশুরা কেমন আছে?

বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে মানিকগঞ্জ জেলার ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১২০ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় ফাইজার টিকা। দেশে আঠারো বছরের কম বয়সীদের পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া ওই টিকায় গ্রহীতাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে ৪ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকা নেয়া ওইসব শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ রাখছিল যমুনা নিউজও। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কারো শরীরে ওই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সুস্থ আছে তারা সবাই।

মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম ইসলাম অর্ক। বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে যে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা দেয়া হয়, অর্ক তাদেরই একজন। অর্ক যমুনা নিউজকে জানায় টিকা নেয়ায় তার কোনো শারীরিক অসুবিধা হয়নি।

টিকা নেয়ার পর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মশিউর রহমানকে কেন্দ্রে কিছুক্ষণ পযর্বেক্ষণে রাখা হয়। পরে বাসায় ফেরার পর রাত পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখে। কিন্তু তারও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। এখন পুরোপুরি সুস্থ সে।

সুস্থ আছে মানিকগঞ্জ এসকে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা খানও টিকা নিয়ে পুরোপুরি সুস্থ আছে।

দেশে প্রথমবারের মতো ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার পর বাড়তি সর্তক রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোঃ লুৎফর রহমান জানান, টিকা নেয়া শিক্ষার্থীদের পযর্বেক্ষণে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কম বয়সীদের টিকা দেয়া নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকা নিরাপদ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুদেরও দেয়া হচ্ছে এই ভ্যাকসিন।

বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেলার চারটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা দেয়া হয়। শীঘ্রই এ কার্যক্রম শুরু হবার কথা সারাদেশে।

Exit mobile version