Site icon Jamuna Television

সমন্বয়হীনতায় বাড়ছে ডলার সংকট

আমদানি-রফতানির সমন্বয়হীনতায় বাড়ছে ডলার সংকট। রেমিট্যান্স কমে যাওয়াও এর জন্য দায়ী। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়মিত ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চার মাসে বিক্রি করা হয়েছে ১২০ কোটি ডলার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে খোলা বাজারে দামের পার্থক্য বেশি।

গেল কয়েক মাস ধরে আমদানির পরিমাণ বাড়ছে ধারাবাহিকভাবে। ৩ মাসে প্রবৃদ্ধি ৪৭ শতাংশের বেশি। কিন্তু সে তুলনায় বাড়েনি রফতানির পরিমাণ। আমদানি-রফতানির এই ব্যবধান সামাল দিতে ভূমিকা রাখে প্রবাসী আয়। সেখানেও উল্টো চিত্র। ৪ মাস ধরে কমছে এ খাতের প্রবৃদ্ধিও। সব মিলিয়ে মুদ্রাবাজারে দেখা দিয়েছে ডলার সংকট।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, বকেয়া ঋণ পত্রের মূল্যপরিশোধ এবং করোনা সংক্রমণ কমে আসায় বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বেড়েছে। সংকট কাটতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।

ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য সাড়ে ৩ থেকে ৪ টাকা। এটিও সংকটের বড় কারণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাই টাকার মান কিছুটা কমিয়ে আনার পক্ষে তারা। তবে এটি যেন মূল্যস্ফীতি উস্কে না দেয় সেটিও খেয়াল রাখতে হবে বলে মন্তব্য তাদের।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মূলত আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বেড়েছে। এ কারণে ডলারের কিছুটা টান পড়েছে। তবে ব্যাংকিং খাতে কোনো সংকট নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ডলার সরবরাহ করছে বলেও দাবি তাদের।

রফতানি এবং-প্রবাসী আয় বাড়লে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের।

Exit mobile version