Site icon Jamuna Television

প্রকল্পের ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে ক্ষমা চাইলেন ইউপি চেয়ারম্যান

ইউপি চেয়ারম্যান স্বাধীন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

প্রকল্প গ্রহণ না করেই গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভূমি হস্তান্তর কর বরাদ্দের উত্তোলনকৃত সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন ৩ নম্বর দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন।

শোকজ নোটিশের পর উন্নয়ন প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের ব‌্যাংক হিসাব নম্বরে এই টাকা জমা করা হয়। এ ছাড়া আয়কর বাবদ দুই লাখ ৪৯ হাজার টাকাও জমা করা হয়। একই সঙ্গে চেয়ারম্যান স্বাধীন তার শোকেজের জবাবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।

রোববার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগম।

মুঠোফোনে তিনি যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, শোকজের লিখিত জবাব বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) তার দপ্তরে জমা দেয়া হয়। শোকজ জবাব তিনি গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রোখছানা বেগমের দফতরে পাঠিয়েছেন। এছাড়া উত্তোলন করা সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ও আয়করের আড়াই লাখ টাকা জমার কথাও জানান তিনি ।

শোকজের নোটিশ পাওয়ার পর গত ৩ অক্টোবর ভ্যাট-আয়কর বাবদ দুই লাখ ৪৯ হাজার ৯২৩ টাকা জমা ও ৬ অক্টোবর সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসনের ভূমি হস্তান্তর বরাদ্দের তুলে নেয়া সাড়ে ১৮ লাখ টাকা পরিষদের ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে পরিষদের সচিব মো. নুরজামান মিয়া বলেন, সোনালী ব্যাংক সাদুল্লাপুর শাখার হিসাব নম্বরে এসব টাকা জমার রশিদ এবং ট্রেজারি চালানের কপি ইউএনওসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। লিখিত জবাবে চেয়ারম্যান অভিযোগের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রোখছানা বেগম জানান, চেয়ারম‌্যান স্বাধীনের লিখিত জবাব ইউএনও’র মাধ‌্যমে পাঠানো হয়েছে। তার জবাব পর্যালোচনা করাসহ সরেজমিনে অভিযোগগুলো তদন্ত করেই পরবর্তী ব‌্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ‘প্রকল্প ছাড়াই তোলা হয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা, ইউপি চেয়ারম‌্যানকে শোকজ‘ শীর্ষক খবর গত ৯ অক্টোবর যমুনা টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন গণমাধ‌্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে খবর প্রকাশের পর জেলা জুড়েই ব‌্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক নিজের ফেসবুক লাইভে এসে অভিযুক্ত সেই চেয়ারম‌্যান স্বাধীন নিজের দোষ আড়ালে নির্বাচনি প্রতিপক্ষ প্রার্থীসহ স্থানীয় দুই সংবাদকর্মীকে নিয়ে নানা মিথ‌্যাচার করেন।

এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে নথিপত্র যাচাই ও ব্যাংক হিসাবে প্রকল্প গ্রহণ ছাড়াই সাড়ে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয়কর বাবদ দুই লাখ ৪৯ হাজার টাকা জমা না দেয়ার ঘটনা ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় চেয়ারম্যানকে ২৯ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রোখছানা বেগম।

Exit mobile version