Site icon Jamuna Television

আজ উড়তে থাকা ওমানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশের আজকের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে গ্রুপ বি’র একটি নক আউট ম্যাচ। স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে টাইগারদের আত্মবিশ্বাস এমনিতেই এখন তলানিতে। তার উপর পাপুয়া নিউগিনিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দেয়া ওমান রান রেটের ভিত্তিতেও আছে সুবিধাজনক অবস্থানে। তাই বাংলাদেশকে যদি ওমান হারিয়ে দেয়, তবে সুপার টুয়েলভের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। আর বাংলাদেশকে হজম করতে হবে কোয়ালিফায়ার পর্ব থেকেই বিদায়ের তেতো স্বাদ।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮ টায় আল আমেরাত স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।

স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬ রানের পরাজয় নিয়ে দুনিয়া জুরে বাংলাদেশের সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ। বিপক্ষ দলের পারফরমেন্স বা পরাজয়ের ক্ষুদ্র ব্যবধানের চেয়ে সবার কাছেই দৃষ্টিকটু লেগেছে বাংলাদেশের খেলার ধরন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞতার বিচারে গ্রুপের বাকি দলগুলোর চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে থাকার পরও এমন পারফরমেন্সে হতাশ সবাই। তার উপর ৫৩ রানে স্কটল্যান্ডের ৬ উইকেট ফেলে দেয়ার পরেও যেখানে স্কটিশরা সম্পূর্ণ ২০ ওভার খেলে সংগ্রহ করেছে লড়াকু পুঁজি, সেখানে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসহীন ব্যাটিংয়ের কারণ খুঁজে পেতে মরিয়া সমর্থকেরা।

দুই ওপেনার আউট হবার পর সাকিব এবং মুশফিকের ইনিংস মেরামতের গতি ছিল অতিরিক্ত মন্থর। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও আক্রমণ করার জন্য বেশি সময় ক্ষেপণ করে ফেলায় শেষ দিকের ব্যাটারদের জন্য লক্ষ্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপারই হয়ে দাঁড়ায়। তাই, সৌম্য সরকার এবং লিটন দাসদেরও নিতে হবে দায়িত্ব। প্রতিশ্রুতিশীল থেকে ধারাবাহিক পারফর্মার হয়ে উঠতে হবে এ দুজনকে।

বাংলাদেশের বোলিং প্রথম ১২ ওভারে দারুণ আধিপত্য দেখিয়েছে ম্যাচে। কিন্তু শেষ ৮ ওভারে ৮৫ রান হজম করে বোলাররা। মাহমুদউল্লাহর একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে, যেখানে ১৬ ওভারের মধ্যে স্পিনারদের কোটা শেষ হয়ে যায়। এরপর বাকি ওভারগুলো করেন মোস্তাফিজ, তাসকিন, সাইফুদ্দিনরা। আর এই ছক অনুযায়ী খেললে অপশনের সংখ্যাও কমে যায় মাহমুদউল্লাহর।

ওমানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার আকিব ইলিয়াস এবং জতিন্দার সিং আছেন ভালো ফর্মে। অপরাজিত উদ্বোধনী জুটিতেই পাপুয়া নিউগিনিকে হারায় এ দুই ব্যাটার। তবে আরও ভালো মানের বোলিং ইউনিটের মুখোমুখি হতে হবে এ দুজনকে। বাংলাদেশেরও দরকার, ভুল-ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে নিশ্চিত করা, যেন সেসবের পুনরাবৃত্তি আর না হয়।

Exit mobile version