Site icon Jamuna Television

বিশ্বকাপে খেলবেন শোয়েব মালিক

পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। বয়স ৪০ এর ঘরে হলেও এখনও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে প্রথমে জায়গা না হলেও পারফর্মেন্সের ওপর ভিত্তি করেই দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। সতীর্থ থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররাও শোয়েবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

১৯৯৯ সালে ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তান দলে অভিষেক অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের। সেই থেকে প্রতিদিনই নিজেকে মেলে ধরছেন নতুন করে। মাতিয়ে রাখছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে।

শোয়ের মালিকের অভিষেকের সেই দিনটির কথা এখনও মনে রেখেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম। মনে তো রাখবেনই, কারণ তার অধিনায়কত্বেই অভিষেক হয়েছিলো মালিকের। আকরাম বলেন, মালিককে আমরা দলে নিয়েছিলাম অফস্পিনার হিসেবে। ফিল্ডিং এ পারদর্শী মালিক অফ ব্রেকটাও খারাপ করতো না। ভবিষ্যতে মালিক এত ভালো ক্রিকেটার হবেন তা আমরা কখনও ভাবতেও পারিনি। এই মুহুর্তে মালিক পাকিস্তান ক্রিকেটের ত্রাণকর্তা।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মালিক তার যাদুতে মাতিয়ে রেখেছেন সবাইকে। অসাধারণ ফিটনেসের অধিকারী এই ক্রিকেটার এখনও করে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম। ওয়াসিম আকরাম এ নিয়ে বলেন, এই বয়সে এসেও মালিক ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে। প্রমাণ করেছে মানসিকভাবে সে কতটা শক্তিশালী। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য মালিককে দারুণ এক উদাহরণ বলেও উল্লেখ করেন সাবেক এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

শোয়েব মালিকের প্রশংসা ঝড়েছে পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির কণ্ঠেও। দীর্ঘদিন তারা ছিলেন সতীর্থ। শোয়েবের ফিটনস দেখে বিস্মত তিনিও, সেই সাথে তার বিশ্বকাপে দলভুক্তিতে বেজায় খুশি এই অলরাউন্ডার। শহিদ আশা করছেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে সাহায্য করবেন মালিক।

সেইসাথে পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম তো রীতিমত তাকে দেশের মূল্যবান এক সম্পদ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। জানালেন, ইচ্ছে আছে শোয়েবকে রেখেই মূল একাদশ সাজানোর।

২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন মালিক। সেবার দলকে রানার্স আপ বানানোয় রেখেছিলেন বড়সর ভূমিকা। ২০০৯ সালে পেয়েছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ। শেষবারের মতো দেশের হয়ে খেলবেন বিশ্বকাপ। আর চাওয়াটাও তার স্পষ্ট, জিততে চান বিশ্বকাপ শিরোপা।

Exit mobile version