Site icon Jamuna Television

নামকরা সিনেমার শ্যুটিং চলাকালে ঘটেছিল যেসব ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা!

শুক্রবার সিনেমার শ্যুটিং-এ অস্ত্র দিয়ে গুলি করার অভিনয় করতে গিয়ে সত্যি সত্যি ‘শ্যুট’ করে ফেললেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অ্যালেক বল্ডউইন। এতে নিহত হয়েছেন সিনেমাটির চিত্রগ্রাহক হ্যালাইনা হাচিন্স, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি পরিচালক জো সুজা। ঘটনাটি সম্প্রতি চাঞ্চল্যের ঘটনা সৃষ্টি করেছে গোটা বিশ্বে।

কিন্তু শ্যুটিং-এ ‘অঘটনের’ ঘটনা এই প্রথম নয়। নাটক কিংবা সিনেমার শ্যুটিং করতে গিয়ে এমনই ভয়াবহ কিছু ঘটনার সাক্ষী ইতিহাস।

ঘটনা ১৯৮২ সালের। ‘টোয়াইলাইট জোন: দ্য মুভি’র সেটে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা যায় তিন অভিনেতা, যাদের দুজন শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছিল আরও ছয়জন। তবে মন্দের ভালো হিসেবে এ ঘটনার জেরে সিনেমাটির প্রোডাকশন টিম কর্তৃক সেটের কর্মীদের শ্রম-অধিকার ক্ষুণ্ণের ব্যাপারটি সামনে আসে। ফলাফলস্বরূপ, সেটের কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে নড়েচড়ে বসে ইন্ডাস্ট্রি, তৈরি হয় ‘স্ট্যান্ডার্ড’।

এই দুর্ঘটনার ঠিক দুই বছর পর ‘কাভার আপ’ নামে একটি টিভি সিরিজের শ্যুটিং-এর সময় ২৬ বছর বয়সী অভিনেতা জন-এরিক হেক্সাম নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ট্রিগার চাপেন। বলা বাহুল্য, পিস্তলে ভরা ছিল গুলি!

১৯৯৩ সালে কিংবন্তি মার্শাল আর্টিস্ট ও অভিনেতা ব্রুস লির ছেলে ব্রেন্ডম লির ভাগ্যেও লেখা ছিল মৃত্যু। নতুবা ‘দ্য ক্রো’ ছবির সেটে ব্যবহৃত ডামি-অস্ত্রটি ‘ত্রুটিযুক্ত’ হবেই বা কেন। পেটে গুলি লেগেছিল তার। ছয় ঘণ্টার ব্যর্থ অস্ত্রোপচার শেষে মৃত ঘোষণা করা হয় ২৮ বছর বয়সী সেই অভিনেতাকে।

পরের ঘটনাটি এই শতাব্দীর। ২০০৩ সালে কুয়েন্টিন ট্যারান্টিনোর বিখ্যাত সিনেমা ‘কিল বিল’-এর শ্যুটিং এর সময় ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করা উমা থুরম্যান। এতে তার হাঁটু তো ভেঙে যায়ই, সেইসঙ্গে জ্ঞানও হারান অভিনেত্রী।

২০০৭ সালে আরেক সুপারহিট সিনেমা ডার্ক নাইটের শ্যুটিং চলাকালে সিনেমাটির স্পেশাল এফেক্ট টিমের একজন মারা যান। স্পেশাল এফেক্টে ব্যবহৃত একটি গাড়ি টেস্ট-রান শেষ করে একটি গাছে বাড়ি খাওয়ায় ঘটে এ দুর্ঘটনা।

২০১১ সালে বুলগেরিয়াতে অ্যাকশন সিনেমা দ্য এক্সপেন্ডেবলসের দ্বিতীয় সিক্যুয়েলের শ্যুটিং সেটে বিস্ফোরণে প্রাণ যায় একজন স্টান্টম্যানের।

বাদ যায়নি আরেক বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি স্টার ওয়ার্সের সেটও। তাদের ফোর্স অ্যাওয়েকেন সিনেমার শ্যুটিং করতে গিয়ে অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ড (৭১) আটকা পড়েন প্রচণ্ড ভারী একটি হাইড্রোলিক মেটালডোরে। এজন্য ভাঙা পায়ে সার্জারির টেবিলেও উঠতে হয়েছিল অভিনেতার।

২০১৫ সালে ‘রেসিডেন্ট ইভিল: ফাইনাল চ্যাপ্টার’ সিনেমার শ্যুটিং চলাকালে একজন নারী স্টান্টশিল্পী গুরুতরভাবে আহত হন। শরীর থেকে হাতটাই বাদ যায় তার! পরবর্তীকালে একই সিনেমার সেটে অন্য আরেক স্টান্টম্যানের মৃত্যু ঘটে গাড়িচাপায়।

২০১৭ সালে কানাডার ভ্যাংকুভারে আরেক সুপারহিরো সিনেমা ডেডপুল টু-এর শ্যুটিং-এ এক নারী স্টান্ট ড্রাইভারের মৃত্যু ঘটে। বিল্ডিং-এর জানালা ভেদ করে রাস্তায় মোটরসাইকেল বের করার দৃশ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন তিনি।

Exit mobile version