Site icon Jamuna Television

পাক-ভারত মহারণ ২৪ অক্টোবর

দীর্ঘদিন পর ২৪ অক্টোবর আবারও ক্রিকেট মাঠে লড়বে ভারত-পাকিস্তান। এই নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা। এই ম্যাচ উপভোগ করার জন্য অধীর আগ্রহে আছে ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে এখন পর্যন্ত সাদা বলের এই লড়াইতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অনেক ঘটনাই আছে যা এখনও স্মরণীয় হয়ে আছে ক্রিকেট প্রেমীদের মাঝে।

সীমান্তের লড়াই থেকে শুরু করে ক্রিকেট মাঠ, ভারত-পাকিস্তান মানেই টানটান উত্তেজনা, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সাথে জড়িয়ে আছে কোটি কোটি ক্রিকেট প্রেমীদের আবেগ। রাজনৈতিক টানাপোড়ন এবং বোর্ডকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের জন্য আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া এখন আর দেখা হয় না দুদলের । তাইতো, আগামী ২৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ; এই বিশ্বকাপের সব থেকে বড় হটকেক।

সাদা বলের ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দুই দলই সেরা। তবে শেষ মূহুর্তের অনেক নাটকীয়তা নতুন রূপ এনে দিয়েছিল এই দুই দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের। শুধু এই দুই দেশই নয়, এমন ঘটনা মনে রেখেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মাস্টারমাইন্ড ধোনির মাস্টার ট্যাকটিকসের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল শোয়েব মালিকের পাকিস্তান। সেবার শেষ ওভারের প্রতিটি মুহূর্ত এখনও বাড়তি শিহরণ জোগায় ক্রিকেট প্রেমীদের। সেই আসরের গ্রুপ পর্বে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বির ম্যাচ ছিল আরেক কাঠি সরেস। নাটকীয়ভাবে সেই ম্যাচ টি হয়েছিলো টাই। সেই ম্যাচে ক্রিকেট বিশ্ব দেখে টাই ব্রেকার। বোল আউটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল ঘটেছিল আরও এক স্মরণীয় ঘটনা। সেই ম্যাচে জেতার জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিলো ২৪৬ রান। পাকিস্তানের ক্রিকেটার মিয়ানদাদ ১১৪ বলে খেলেছিলেন ১১৬ রানের এক অপরাজিত ইনিংস। জেতার জন্য জখন মাত্র ৪ রান দরকার ঠিক তখনই ভারতীয় পেসার চেতান শার্মার শেষ বলে ৬ মেরে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেন মিয়াদাদ।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনেকের দৃষ্টিতে একবিংশ শতাব্দীর সেরা। ১লা মার্চের সেই ম্যাচ জেতানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শচীন টেন্ডুলকার। ওয়াসিম-ওয়াকার বলেই ৯৮ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন এই মাস্টার ব্লাস্টার। যদিও শেষ পর্যন্ত তার উইকেটটি নিয়েছিলেন শোয়েব আক্তার।

২০১৭ সালের ১৮ জুন চ্যম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত-পাকিস্তান। ১০৬ বলের বিপরীতে ১১৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে পাকিস্তানের ফখর জামান আর তার ওপেনিং পার্টনার আযহার আলী করেছিলেন ১২৮ রান। ফলে ৩৩৮ রান করে হতাশ করে দেয় বিরাট কোহলির দলকে। জবাবে বাট করতে নামলে ভারতকে মাত্র ১৫৮ রানে গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান।

সমীকরণ যাই হোক না কেন, সবাই উৎসুক এবারের ভারত পাকিস্তানের মহারণ নিয়ে।

Exit mobile version