২৬ বছর পর শারজাহতে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পরিসংখ্যান বলছে, এই ভেন্যুতে আগে ব্যাটিং করা দলই জিতেছে দুই তৃতীয়াংশ ম্যাচ। তাই এই মাঠে টস হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মূল পর্বের ম্যাচে স্পিনাররা গড়ে দিতে পারে ব্যবধান। গেল ম্যাচেই লঙ্কানরা শারজাহতে ডাচদের অলআউট করেছে মাত্র ৪৪ রানে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর শারজাহ বেশ পরিচিত বাংলাদেশিদের কাছে। আরব আমিরাতের হোম অব ক্রিকেট বলা হয় শারজাহকে। এক সময় এশিয়া কাপ আর ভারত-পাকিস্তান মহারণ মানেই যেন চোখে ভেসে উঠতো শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
সেই শারজাতে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব বা সুপার টুয়েলভস অভিযান শুরু করবে টাইগাররা। এই মাঠে কখনই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে দুবাই ও আবুধাবিতে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা লাল সবুজের প্রতিনিধিদের থাকলেও লম্বা সময় ধরে শারজায় পড়েনি টাইগারদের পায়ের ছাপ। সবশেষ ১৯৯৫ সালে এই ভেন্যুতে এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল আকরাম খানের বাংলাদেশ।
শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ড লম্বা সময় ধরে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করেছে আফগানিস্তান। তাইতো এই ম্যাঠে হওয়া ১৬টি টি-টোয়েন্টির ১২টি ম্যাচই খেলেছে আফগানরা। এই ভেন্যুতে আগে ব্যাটিং করা দল ম্যাচ জিতেছে ১০টি আর পরে ব্যাট করে জয়ের সংখ্যা ৬। শারজাহর সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৫। এইতো শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বনিম্ন ৪৪ রানে অলআউট হয়েছি নেদারল্যান্ডস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মূল পর্বের লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ। তিন ফর্মেটের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতেই লঙ্কানদের বিপক্ষে রেকর্ডটা সবচেয়ে ভালো টাইগারদের। এখন পর্যন্ত দুই দলের ১১ দেখায় ৪ জয় বাংলাদেশের। যার মধ্যে সবশেষ দুই ম্যাচে কলম্বোতে গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে দেশে ফিরেছে রিয়াদের দল।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল টি-টোয়েন্টি ব্যাটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১০ ম্যাচে ৩৭.২৮ গড়ে ২৬১ রান টাইগার দলপতির। ২৩৯ রান করে দ্বিতীয় সেরা মুশফিকুর রহিম। এই ম্যাচ দিয়ে আবারও রানে ফিরবেন মুশি, এমনটাই প্রত্যাশা টাইগার ভক্তদের।