Site icon Jamuna Television

তেল না বেচেও তেলের ব্র্যান্ডিং: পর্যটক টানতে মেগাপ্রজেক্ট সৌদির

বহুদিন ধরেই অর্থনীতিতে তেলের ওপর একতরফা নির্ভরতা কমাতে চাইছে সৌদি আরব। কিন্তু বিকল্প পরিকল্পনাতেও পিছু ছাড়েনি ‘তেল’!

সম্প্রতি পর্যটন খাতে আয় বাড়াতে তৎপর হয়েছে দেশটি। তারই অংশ হিসেবে দেশটি বানাচ্ছে দেড় লক্ষ বর্গমিটারের এক বৃহদাকার পার্ক, যার থিম হবে দেশটির তেল-ইন্ডাস্ট্রি।

এই লক্ষ্যে তারা দেশটির নবনির্মিত এক শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি তেল উত্তোলন কেন্দ্রকে ‘এক্সট্রিম পার্ক’ ও রিসোর্টে রূপ দিচ্ছে। সৌদির সরকারি অর্থায়নেই নির্মিত হবে পার্কটি। এতে থাকবে তিনটি হোটেল, ১১টি রেস্টুরেন্ট, যার প্রত্যেকটিই অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম দিয়ে যুক্ত থাকবে একে অপরের সাথে।

বহুল প্রতীক্ষিত এই এক্সট্রিম পার্কে থাকবে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির রোলার কোস্টার রাইড। সেই সাথে থাকবে বাঞ্জি জাম্পিং, স্কাইডাইভিং-এর মতো রোমাঞ্চকর সব অ্যাক্টিভিটির সুবিধা। এমনকি পানির ওপরে আর নিচেও থাকছে দুর্ধর্ষ সব আয়োজন।

এই প্রজেক্টটিকে মনে করা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম তেল-বিষয়ক থিম পার্ক! অন্যদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টকে মনে করছে তাদের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার পথে এক ধাপ অগ্রযাত্রা। উল্লেখ্য, এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্যই হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদিকে পর্যটন খাতে সেরাদের কাতারে নিয়ে যাওয়া।

প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলিম দেশটিতে পবিত্র হজ পালনের জন্য আসেন। তবে দেশটির অতি-রক্ষণশীল নীতি ও মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে অনেক আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্টই শুধু পর্যটনের উদ্দেশ্য নিয়ে দেশটিতে আসতে চান না।

কিন্তু এবারে দেশটি দুবাই, আবুধাবি কিংবা ওমানের মতো জায়গায় পৌঁছুতে উদগ্রীব। তাদের লক্ষ্য, এই দশকের শেষ নাগাদ প্রতিবছর অন্তত ১০ কোটি পর্যটক অর্জন। সেজন্যই ইতোমধ্যে দেশটির প্রধান প্রিন্স সালমান তাদের দ্বিতীয় জাতীয় এয়ারলাইন চালু ও যোগাযোগের অবকাঠামোর পেছনে আগামী ৯ বছরে ১৪৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

আশা করা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের মধ্যেই এক্সট্রিম পার্কে ছোটা শুরু করবে বিশ্বের দ্রুততম সেই রোলার কোস্টার।

Exit mobile version