Site icon Jamuna Television

ক্যাচ মিসের মাশুল ম্যাচ হেরেই দিলো বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার দুই জয়ের নায়কই জীবন পেয়েছেন লিটনের হাতে। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাটিং পারফরমেন্সের দিক দিয়ে এ ম্যাচেই বাংলাদেশ দেখিয়েছে সেরা প্রদর্শনী। বোলিংয়েও সাকিব-নাসুমরা মন্দ করেননি। তবে এক লিটন দাসের জোড়া ক্যাচ মিসের মাশুল নির্মমভাবেই দিতে হলো মাহমুদউল্লাহর দলকে। টাইগারদের দেয়া ১৭২ রানের বিশাল টার্গেটও ৫ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে শ্রীলঙ্কা।

আফিফ হোসেনের এক ওভারেই ম্যাচের দখল নেয়া শুরু করে লঙ্কানরা। আফিফের করা দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় বলে ভানুকা রাজাপাকসের ক্যাচ মিস করেন লিটন; তখন রাজাপাকসের রান ছিল ১৪। আর ১৮.২ ওভারে নাসুম আহমেদের বলে যখন আউট হলেন এই হার্ড হিটার, ততক্ষণে তিনি খেলে ফেলেছেন ৩১ বলে ৫৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। চারিথ আসালাঙ্কা ও রাজাপাকসের ৮৬ রানের জুটিই ম্যাচ নিয়ে যাত টাইগারদের থাবার বাইরে।

লঙ্কানদের জয়ের নায়ক আসালাঙ্কা ৪৯ বলে ৮০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ছিলেন অপরাজিত। সেখানেও তিনি ধন্যবাদ জানাতে পারেন লিটনের পিচ্ছিল হাতকে। ১৪.৩ ওভারে মোস্তাফিজের বলে আসালাঙ্কার ক্যাচ মিস করেন লিটন। আর তখন আসালাঙ্কার রান ছিল ৬৩।

প্রশ্ন উঠতে পারে মাহমুদউল্লাহর রক্ষণাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়েও। সাকিব-সাইফুদ্দিনদের আঘাতে লঙ্কানরা যখন ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে, তখন স্পেশালিস্ট বোলারদের বাদ দিয়ে তিনি নিজে যেমন করেছেন বোলিং, তেমনি বল তুলে দিয়েছেন আরেক পার্ট টাইমার আফিফের হাতে। এ দুইজনের ৩ ওভারে উঠেছে ৩৬ রান। অথচ ৩ ওভারে ১৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেয়া সাকিব আল হাসানের এক ওভার তো ছিল ম্যাচ শেষেও অব্যবহৃত। আর ডেথ ওভারে দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র মোস্তাফিজুর রহমানও করেছেন ৩ ওভার। সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলারদের শেষ পর্যন্ত রেখে দিয়ে তা কাজেই লাগাতে না পারা অবশ্যই ক্রিকেটীয় দর্শনে এক বড় ভুল। এসব ভুলের পুনরাবৃত্তি আর হবে না সুপার টুয়েলভে, এই আশা করা ছাড়া কিছুই করার নেই সমর্থকদের।

Exit mobile version