Site icon Jamuna Television

দাদাকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন সৌদি যুবরাজ সালমান!

ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে। ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে রীতিমতো চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। এমন অবস্থার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিট অনুষ্ঠানে এক সাবেক সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন সালমান।

২০১৫ সালে মৃত্যু হয় তৎকালিন সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লার। তারপরই সৌদি সিংহাসনে বসেন তার সৎভাই সালমান বিন আবদুল্লাজিজ। যিনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের বাবা।

সাদ আলজাবরি নামের ওই তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সৌদি রাজা আবদুল্লাকে ২০১৪ সালে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন মুহাম্মদ বিন সালমান। যুবরাজ সালমান তখন বলেছিলেন, রাশিয়া থেকে এমন একটি বিষাক্ত আংটি তিনি আনিয়েছেন, যেটি পরে আবদুল্লার সঙ্গে হাত মেলালেই মৃত্যু হবে তৎকালীন সৌদি রাজার।

এছাড়াও সাদ দাবি করেন, আবদুল্লার বিরুদ্ধে চক্রান্তের একটি ভিডিও তার কাছে রয়েছে। তবে মার্কিন টিভি শো’য়ে সেই ভিডিও প্রকাশ করেননি তিনি। তার দাবি, তাকেও যে কোনো দিন মেরে ফেলতে পারেন মুহাম্মদ বিন সালমান। তার দুই সাবালক সন্তানকে সৌদি সরকার বন্দি করে রেখেছে বলে দাবি সাদের। যাতে সাদ কানাডা ছেড়ে সৌদি আরবে ফিরতে বাধ্য হন। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক বিরোধীদের পথ থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে। এছাড়া, ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক খাশোগিও রাজ পরিবারের নানা তথ্য ফাঁস করেছিলেন। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। সৌদি রাজ পরিবারের পাশাপাশি সে দেশের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগি খুনের পরেই সরব হয় তুরস্কসহ একাধিক দেশ। প্রাথমিকভাবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াদ। পরে অবশ্য বলা হয়, গুপ্ত ঘাতকের হাতে খুন হয়েছেন খাশোগি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন প্রায় ২৪ জনকে আটক করে সৌদি সরকার। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে মুহাম্মদ বিন সালমানের কোনো যোগ নেই বলেও সরকারিভাবে জানায় সৌদি আরব।

Exit mobile version