নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ১৩৪ রানে বেঁধে রেখে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জেতার জন্য কাজ অর্ধেক সেরে রাখলো পাকিস্তান। হারিস রউফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইনিংসের শেষার্ধে রানের চাকা কখনোই ঊর্ধ্বমুখী করতে পারেনি কিউইরা। উল্টো একে একে উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে গড়তে পেরেছে ১৩৪ রানের মাঝারি সংগ্রহ।
এর আগে, সুপার টুয়েলভের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় কিউইরা। শাহিন আফ্রিফির প্রথম স্পেলই ছিল মূলত কিউইদের জন্য মূল হুমকি। তবে আফ্রিদিকে কোনো উইকেট না দিয়ে সমঝে খেলেছেন গাপটিল-মিচেল। তবে হাত খোলার উপক্রম করতেই হারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত গেছেন গাপটিল। ২০ বলে রান করেছেন মোটে ১৭। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত মারমুখী ছিলেন ড্যারিল মিচেল। ইমাদ ওয়াসিমকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে আবারও উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে লং অনে ফাখার জামানের তালুবন্দি হওয়ার আগে মিচেল করেছেন ২০ বলে ২৭ রান। হার্ড হিটিং অলরাউন্ডার জিমি নিশামও সুবিধা করতে পারেননি। কেন উইলিয়ামসকে একপ্রান্তে দর্শক বানিয়ে ২ বলে ১ রান করে মোহাম্মদ হাফিজের শিকার হয়ে ফিরে গেছেন তিনি।
রান আউট হয়ে কেন উইলিয়ামসনও ফিরে গেলে ফিকে হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের বড় সংগ্রহের আশা। ডেভন কনওয়েও ফিরে গেছেন ২৭ রানে। আর এই কাজে দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে শাহিন আফ্রিদি এবং ইমাদ ওয়াসিমকে ব্যবহার করে রানের চাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছেন তিনি। প্রথম স্পেলে এসে হাসান আলি পিটুমি খেলেও পরের স্পেলে ফিরে এসে নিজের বলেই রান আউট করেছেন কেন উইলিয়ামসনকে। অন্যদিকে মন্দ করেননি শাদাব খান এবং মোহাম্মদ হাফিজ। ডেথ ওভারের জন্য রেখে দিয়েছিলেন হারিস এবং শাহিন আফ্রিদিকে। হারিস রউফ তার পেস বৈচিত্রে যেমন বেঁধে রেখেছেন কিউইদের রানের গতি, তেমনি তুলে নিয়েছেন ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট।

