Site icon Jamuna Television

‘জলবায়ু সম্মেলন লোক দেখানো এবং অকার্যকর’

ছবি: সংগৃহীত

কপ টুয়েন্টি সিক্স জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে গ্লাসগোর পথে যখন বিশ্ব নেতারা তখন ভিন্ন চিত্র লন্ডনে। পরিবেশবাদীদের ক্ষোভ আর প্রতিবাদে উত্তাল রাজপথ। পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, কার্বন নিঃসরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত বিশ্ব দায়ী হলেও এর পরিণতি ভোগ করছে অনুন্নত দেশগুলো। অথচ এ বিষয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। উল্টো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনের মতো দেশগুলো।

পোস্টার প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় জলবায়ু সম্মেলনের মতো আয়োজনকে লোক দেখানো এবং অকার্যকর বলে আখ্যা দেন তারা। দরিদ্রতা বাড়ার কারণ হিসেবে পরিবেশের বিপর্যয়কে দায়ী করা হয়। পরিবেশবাদীরা বলেন এর দায় নিতে হবে উন্নত দেশগুলোকেই।

পরিবেশবাদী কর্মী অস্কার সোরিয়া বলেন, কার্বন নিঃসরণ করছে উন্নত দেশগুলো। আর একারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির শিকার হচ্ছে অনুন্নত দেশগুলো। এই বিপর্যয়ের জন্য উন্নত বিশ্ব দায়ী হলেও তারা নিশ্চুপ।

বিক্ষোভে যোগ দেন আলোচিত পরিবেশবাদী গ্রেটা থুনবার্গ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ বিশ্ব নেতাদের আত্মঘাতী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণেই বাড়ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। এসময় পরিবেশবাদীরা কয়লা তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধের দাবি জানায়।

এক বিক্ষোভকারী জানান, আমি ফিলিপাইন থেকে এসেছি। সেখানকার যতগুলো জ্বালানি ক্ষেত্র আছে সবগুলোতে অর্থায়ন করছে বহুজাতিক ব্যাংকগুলো। অর্থ নিয়ে যাচ্ছে তারা ক্ষতির শিকার হচ্ছি আমরা।

পরিবেশবাদী কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলছেন, জলবায়ুর বিপর্যয় রোধে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালনের কথা ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের। অথচ এই দেশটি জীবাশ্ম জ্বালানী উত্তোলনের পরিসর আরও বাড়িয়েছে।এতেই প্রমাণিত হয় কার্বন নিঃসরণ কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নেয়নি উন্নত কোনো দেশই।

এছাড়াও, জলবায়ু সম্মেলনকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়েছে ইসরায়েল এবং ফ্রান্সেও।

Exit mobile version