Site icon Jamuna Television

কংগ্রেসকে ডোবাচ্ছে রাহুলের ভাবনাচিন্তার গলদ: প্রশান্ত কিশোর

লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে জেতানো আর সবশেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধেই মমতাকে ‘জিতিয়ে’ আলোচনায় এসেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যার পেশাই হলো নির্বাচন-পরিকল্পনার নকশা সাজিয়ে মক্কেলকে জেতানো।

সেই প্রশান্ত কিশোর কিছুদিন আগে দেখা করেছিলেন রাহুল গান্ধীর সাথে। সম্প্রতি সেই রাহুলকেই বিদ্ধ করলেন সমালোচনার তীরে। গত বুধবার গোয়ায় এক প্রশ্নোত্তর পর্বের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রশান্ত বলেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীই দলটির সমস্যার কারণ। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।

রাহুল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রশান্ত বলেন, তিনি (রাহুল) মনে করেন মোদি আজকে আছে, কালকে নেই, এরপর কংগ্রেসই আসবে ক্ষমতায়! কিন্তু তিনি এটা কোনোক্রমেই উপলব্ধি করতে পারছেন না যে, মোদি জিতুক বা হারুক আগামী আরও কয়েক দশক ভারতীয় রাজনীতির মূলকেন্দ্র বিজেপি-ই থাকবে।

মোদির ওপর মানুষের ক্ষুব্ধতা বাড়ছে স্বীকার করে নিয়েই প্রশান্ত আরও বলেন, মোদিকে বিজেপি ছুঁড়ে ফেলতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে বিজেপি কোথাও যাচ্ছে না!

নিজের এই পূর্বানুমানের সপক্ষে তার যুক্তিটি অনেকটাই ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় নির্বাচনে কোনো দল একবার ৩০% ভোট পেয়ে গেলে তারা এত সহজে বিদায় নেয় না। উল্লেখ্য, সবশেষ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৩৭ শতাংশের বেশি ভোট।

প্রশান্ত কিশোরের এসব বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ও সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, যে যত বেশি টাকা দেবে, তার পক্ষেই তিনি ভোট করবেন প্রশান্ত। নতুন করে টাকা নিয়ে এবার বিজেপিকে ভালো জায়গা করে দিতে চাইছেন। উনি একজন ব্যবসায়ী।

এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র সৌগত রায় বলেছেন, প্রশান্ত কিশোর ভোটের ব্যাপারে খবর রাখেন। তার সংস্থা আইপ্যাক আমাদের সাহায্য করে। তার মন্তব্যকে ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে দেখার প্রয়োজন নেই। এটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। বিজেপিরও এত খুশিতে ডগমগ হওয়ার কারণ নেই।

এদিকে এ বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, প্রশান্ত কিশোর ভোট নিয়ে ব্যবসা করেন। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও গোয়ার সবগুলো আসনে মমতা জিতলেও মোদিকে হঠাতে পারবেন না। তবে প্রশান্ত কিশোর একটি সঙ্গত কথাই বলেছেন, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনো দলই তৈরি হয়নি এখনো।

Exit mobile version